সাকের মোস্তাফা চৌধূরী: নিজ দেশের নাগরিকদের চেয়ে প্রতিবেশী কানাডিয়দের প্রতি মার্কিনিদের আস্থা অনেক বেশী। অতিসম্প্রতি প্রকাশিত এক অনলাইন জরিপে এরকম চিত্রই ফুটে উঠেছে। ঐ জরিপে আরো উল্লেখ করা হয় যে কোভিড-১৯ প্রতিবেশী মার্কিনিদের প্রতি কানাডিয়দের আস্থায় বেশ বড় ধরনের চিড় ধরিয়েছে, কারণ এ মুহুর্তে মাত্র এক তৃতিয়াংশ কানাডিয়রা মার্কিনিদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন।
গত সপ্তাহে লেগার এন্ড এসোসিয়েটস ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ কতৃক পরিচালিত ঐ জরিপে দেখা যায় কানাডিয় উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র তেত্রিশ শতাংশ প্রতিবেশী মার্কিনি নাগরিকদের প্রতি আস্থাশীল, যা গত নভেম্বর মাসে ছিল আটান্ন শতাংশ। বিপরীতে প্রতিবেশী কানাডিয়দের প্রতি মার্কিনিদের আস্থার হার একাত্তর শতাংশ পক্ষান্তরে নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি তাদের আস্থার হার চার শতাংশ কম অর্থাৎ সাতষট্টি শতাংশ।
দেশ দুটির আন্তঃসীমান্ত বিষয়ক জরিপ পরিচালনাকারী অলাভজনক ঐ প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জ্যাক জেডওয়াব বলেন, “এ মুহুর্তে মার্কিনিদের মধ্যে আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং জরিপের ফলাফলে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে।” তিনি আরো মন্তব্য করেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গভীরভাবে বিভক্ত মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বিভাজনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পক্ষান্তরে প্রতিবেশী দেশ কানাডাতে ঠিক তার উল্টো চিত্রই দেখা যাচ্ছে। এ মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রে আসছে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে যেখানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে তখন কানাডাতে ঠিক তার উল্টো চিত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে।” যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক চিত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে জ্যাক জেডওয়াব আরো বলেন যে এ মুহূর্তে সেখানে রাজনৈতিক বিভাজনের চেয়ে সংহতির প্রয়োজনই ছিল বেশী।
চলতি মাসের এক থেকে তিন তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত উক্ত জরিপে এক হাজার পাঁচশত পনেরো জন কানাডিয় এবং এক হাজার বারো জন মার্কিনি নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।
সূত্র- হাফ পোস্ট