আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন মার্কেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধসের রেকর্ড হয়েছে আগেই। বিশ্লেষকেরা এই খাতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির অপেক্ষা করছেন। অথচ এই ২০২০ সালে ৫জির কারণে বড় ধরনের উত্থানের আশা ছিল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।
পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কভিত্তিক ফোন গত বছর বাজারে আসলেও সেভাবে বিক্রি হয়নি। কারণ অধিকাংশ দেশে এই নেটওয়ার্কের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। বেশ কিছু দেশ জানিয়েছিল, ২০২০ সালে পুরোপুরি তারা এই নেটওয়ার্ক চালু করতে চায়।
মোবাইল এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতো বিক্রি হয় না। একটি ভালোমানের ফোন তৈরি করতে গেলে খরচও পড়ে অনেক। হাতেগোনা কিছু মানুষ একসঙ্গে একাধিক ফোন ব্যবহার করলেও বড় একটা অংশ একটি ফোন দিয়েই কয়েক বছর পার করে দেয়।
তবু স্বাভাবিক সময়ে ফোনের বিক্রি যা হয়, তাতে বৈশ্বিক অর্থনীতি মোটামুটি প্রভাবিত হয়।
স্যামসাং এবং এলজির দেয়া তথ্য বলছে তাদের বিক্রি কয়েক শতাংশে নেমে এসেছে! অ্যাপল ১ মে জানিয়েছে, গত বছর এই সময়ের তুলনায় এবার তাদের আয় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে।
ট্রেন্ডফোর্স জানিয়েছে, চলতি বছর মার্চ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, ২০২০ সালে মোট স্মার্টফোন উৎপাদন হতে পারে ১২৪ কোটি, যা গত বছরের ১৩৫ কোটি স্মার্টফোনের চেয়ে ১১.৩ শতাংশ কম।