অধ্যাপক ফেরদৌসী কাদরী আইসিডিডিআরবির ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান। তিন দশকের বেশি সময় ধরে রোগ প্রতিরোধ ও টিকা নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন। কলেরা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অব এক্সপার্টের সদস্য। সদস্যরা এখন কোভিড–১৯–এর টিকা বিষয়ে কাজ করছেন। এ বিষয় ফেরদৌসী কাদরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল।
প্রথম আলো: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, মানুষের শরীরে কোভিড–১৯–এর টিকার (ভ্যাকসিন) ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এর অর্থ কী?
ফেরদৌসী কাদরী: অনেক সংস্থা ও গবেষণা পরীক্ষাগার কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে টিকা তৈরির জন্য গভীরভাবে কাজ করছে। ১০০টির মতো টিকা তৈরিতে কাজ চলছে। এর মধ্যে ৭টি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। ছয়টি পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে, যা মূলত টিকার নিরাপদ ও কার্যকারিতার পরীক্ষা। আরেকটি দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, যেখানে বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর তা প্রয়োগ করে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় স্বেচ্ছাসেবকদের এসব টিকা ধীরে ও যত্নসহকারে দেওয়া হয়, যাতে কোনো বিরূপ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা যায়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম আলো: এর আগে আপনি বলেছিলেন, চীনের উহান, যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা নতুন টিকার ব্যাপারে এগিয়ে আছেন। এখনকার পরিস্থিতি কী। কোন দল কোথায় আছে।
ফেরদৌসী কাদরী: প্রথম ধাপে থাকা ৬টি টিকার পরীক্ষার পরিকল্পনার মধ্যে একটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের। এটি মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য এগিয়ে চলেছে। এটি মূলত ডিএনএ টিকা (সিডএইচএডওএক্সওয়ান), যার ভিত্তি অ্যাডেনো ভাইরাস ভ্যাকসিন ভেক্টর ও সার্স-কোভ-২ স্পাইক প্রোটিন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় টিকা প্রস্তুত করবে। এতে ১ হাজার ১১০ জন পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে অর্ধেক পাবেন নতুন ভ্যাকসিন আর অর্ধেক প্রচলিত মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিন(MenACYW)। পরীক্ষার প্রথম ধাপে এটি যাওয়ার পর অল্প কিছু স্বেচ্ছাসেবী এতে অংশ নিয়েছেন।
চীনের উহান টনজাই হাসপাতালে ১০৮ জন অংশগ্রহণকারীকে ক্যানসিনো বায়োলজিক্স দ্বারা উত্পাদিত অ্যাড ৫-এনসিওভি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটাও অক্সফোর্ডের মতো ডিএনএ ভ্যাকসিন। এর পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আরেকটি পরীক্ষা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে। এতে মর্ডানার তৈরি এমআরএনএ ভ্যাকসিন এমআরএনএ ১২৭৩ ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৮-৬৫ বছর বয়সী ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। চীনে সিনোভ্যাকের তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চলছে। প্রথম ধাপে ১৭ এপ্রিল থেকে ১৪৪ জনকে এটি দেওয়ার কথা। এর মধ্যে ১১ জনকে দুবার করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে দুই ডোজ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
প্রথম ধাপে যাওয়ার জন্য বাকি ২টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। একটি হলো ডিএনএ ভ্যাকসিন, আইএনও-৪৮০০ (INO-4800) যা পরের কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় ৪০ জনকে নিয়োগ দেবে। আরেকটি ভ্যাকসিন বিএনটি ১৬২ (BNT162) এমআরএনএ ভ্যাকসিন। এটি তৈরি করেছে জার্মানির ফিজার ও বায়োএনটেক (Pfizer and BioNTec) । জার্মানিতে ২০০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হবে। এগুলো ছাড়া বিসিজি টিকা কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় কি না, তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে।
প্রথম আলো: কাদের ওপর ট্রায়াল হচ্ছে? এই মানুষগুলো কারা? কোন শর্তে তাঁরা ট্রায়ালে অংশ নিচ্ছেন?
ফেরদৌসী কাদরী: ১৮-৬০ বা তার বেশি বয়সের সুস্থ লোকদের মধ্যে ট্রায়ালগুলো পরিচালিত হচ্ছে। কিছু পরীক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোনো ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে এমন কোনো অবস্থায় থাকা কাউকে তালিকাভুক্ত করা হয় না। যাঁরা স্বেচ্ছায় অংশ নিতে চান কেবল তাঁদের তালিকাভুক্ত করা হয়। তাঁরা বেশির ভাগই জেনে–বুঝে এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তাঁদের কাছ থেকে লিখিত সম্মতি নেওয়া হয়। সম্মতিপত্রে সুবিধা ও ঝুঁকির বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে।
প্রথম আলো: ট্রায়ালে অংশ নেওয়া মানুষদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি কি আছে?
ফেরদৌসী কাদরী: ভ্যাকসিন পরীক্ষায় তালিকাভুক্তির আগে ব্যাপক অন্তর্ভুক্তি এবং বর্জনীয় মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। প্রত্যেকেই প্রাপ্তবয়স্ক। প্রত্যেকে ভ্যাকসিনের ঝুঁকির বিষয়ে অবগত থাকেন। তাঁদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে।
প্রথম আলো: চলমান ট্রায়ালের ফলাফল কবে জানা যাবে?
ফেরদৌসী কাদরী: সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার ফলাফল উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে ভ্যাকসিন খুব জরুরি এবং বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলে এর প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার সবগুলো ধাপ দ্রুত সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রথম আলো: টিকা তৈরি ও সাধারণ মানুষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু বিধিবিধান আছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি কোনো ছাড় দেবে? দিলে কোন ধরনের ছাড়?
ফেরদৌসী কাদরী: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন উত্পাদন ও সহজলভ্য করতে একটি কমিটি গঠন করেছে এবং সদস্যদেশগুলোর সহায়তায় একটি তহবিল তৈরি করেছে। তারা কাজ করছে।
প্রথম আলো: আপনি টিকাবিষয়ক কৌশলগত কমিটিতে আছেন। কমিটিতে আপনার ভূমিকা কী, তা দেশবাসী জানতে চায়।
ফেরদৌসী কাদরী: আমি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টসের একজন সদস্য। এরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ভ্যাকসিন–সম্পর্কিত পরামর্শ দেয়। আমরা কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন সহজলভ্য করার পরিকল্পনা নিয়ে অনেক আলোচনা করছি। আমার দায়িত্ব হচ্ছে, এটি জানানো যে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মতো বাংলাদেশসহ সব স্বল্প ও মধ্য আয়ের (এলএমআইসি) দেশগুলোর ভ্যাকসিন সমানভাবে প্রয়োজন। একবার পরীক্ষা করা হয়ে গেলে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতায় কোনো বৈষম্য হওয়া উচিত না। আমরা স্বল্প ও মধ্য আয়ের দেশগুলো অনেক পরে ভ্যাকসিন পাব—গল্পটি এবার আগের মতো হওয়া উচিত নয়। সর্বত্র এই বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমি কাজ করছি। আমি এ খাতের হালনাগাদ উন্নয়নের খোঁজ রাখছি এবং যত দ্রুত সম্ভব আমাদের সেটিংগুলোতে ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রথম আলো: টিকা উৎপাদন করার জন্য বড় কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিল গেটস। এই কোম্পানিগুলো কারা?
ফেরদৌসী কাদরী: গেটস ফাউন্ডেশন এমন কৌশলগত পরিকল্পনা করেছে, যাতে টিকার পরীক্ষা শেষ হওয়া ও তা নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করা যায়। সাধারণ সময়ে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা ও উৎপাদনে যেতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লেগে যায়। সেরা পরিকল্পনাটি হচ্ছে, সেরা ভ্যাকসিনের ওপর নজর রাখা এবং উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশেই তা উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত থাকা। বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ বা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। টিকা পাওয়া গেলে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সবার আগে তা দেওয়া উচিত।
প্রথম আলো: কবে নাগাদ টিকা উৎপাদনে যেতে পারবে তারা?
ফেরদৌসী কাদরী: একবার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় টিকাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এমন উপাত্ত হাতে পেলেই কোম্পানিগুলো ব্যাপক উত্পাদনে যেতে পারবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে। ভ্যাকসিন কাজটি এখন বৈশ্বিক সহযোগিতার অনন্য উদাহরণ। ভ্যাকসিনের পরীক্ষা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, যাতে তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালগুলোর ফলাফল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাওয়া যাবে।
প্রথম আলো: বিশ্বের কত মানুষের টিকার দরকার হবে? কোম্পানিগুলো কত টিকা উৎপাদন করতে পারবে?
ফেরদৌসী কাদরী: সার্স-কোভ-২ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। এ কারণে বিশ্বের সমস্ত লোক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য দেখায় যে ৬০–ঊর্ধ্বরা বেশি ঝুঁকিতে এবং তাঁদের মারা যাওয়ার হারও বেশি। তবে এটা সব জায়গায় আবার এক নয়। আমাদের দেশে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদেরও সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে ও হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। উপসর্গহীন অনেক রোগী দেখা যাচ্ছে। তারা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে ও মহামারি বিস্তার করতে পারে। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা এটি ছড়াতে না পারে। তাই প্রচুর ডোজ প্রয়োজন হবে। তাই নতুন টিকা হাতে এলে কোম্পানিগুলো যেন অল্প সময়ে ১ লাখ থেকে শুরু করে ১০ লাখ উৎপাদন করতে পারে, সে বিষয়ে কাজ হচ্ছে।
প্রথম আলো: টিকা বিতরণ হবে কীভাবে? মানুষকে কি টিকা কিনতে হবে?
ফেরদৌসী কাদরী: বিতরণের আগে ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হওয়া প্রয়োজন। একবার অনুমোদিত হয়ে গেলে আশা করা যায় যে দ্রুতগতিতে আরও পরিকল্পনা করা যাবে। দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত একটি বৈশ্বিক এবং জরুরি সংরক্ষণাগারের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি মজুত করতে হবে এবং দেশের টিকাদান ও রোগ নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে। যখন প্রচুর টিকা উৎপাদন করা যাবে তখন বাজার থেকে কেনার সুবিধা চলে আসবে।
প্রথম আলো: বাংলাদেশে টিকা কবে নাগাদ আসতে পারে?
ফেরদৌসী কাদরী: ভ্যাকসিনটি আমাদের দেশের জন্য সহজলভ্য হতে পারে, তবে তার আগে আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করা দরকার। আমাদের দেখতে হবে যে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং প্রতিরোধক্ষম কি না। অন্য দেশের মানুষের ওপর পরীক্ষার তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ । তবে এখানেও দ্রুত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি নেওয়া দরকার।
প্রথম আলো: দ্রুত টিকা আনার ব্যাপারে সরকারের কী ভূমিকা পালন করা দরকার। এখন আমাদের কোন ধরনের প্রস্তুতি দরকার?
ফেরদৌসী কাদরী: বিশ্বজুড়ে গবেষকেরা কাজ শুরু করেছেন। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে এটাও বোঝা দরকার যে প্রকৃতিকভাবে কতটুকু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। সবার তথ্য যথাযথভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে মহামারি মোকাবিলার জন্য ভ্যাকসিনের ভূমিকা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি, যাতে আমরা তাদের ফলাফল ও পর্যবেক্ষণ থেকে উপকৃত হতে পারি।
কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তাভাবনা প্রক্রিয়াটি প্রচলিত চিন্তাভাবনা থেকে পৃথক হওয়া উচিত। সব দেশ ও মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষের রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি মহামারিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপসর্গহীন সংক্রমণ এড়াতে ভ্যাকসিন দেওয়ার দরকার হবে। যদি ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম হয়, তবে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কথা আগে ভাবতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশের মহামারি থেকে তথ্যগুলোর যত্নসহকারে মডেলিং করা দরকার, যাতে আমরা ভ্যাকসিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকি। আমরা অদূর ভবিষ্যতের ওপর আশা রাখতেই পারি।