নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে এর আগে এক সপ্তাহে কোনো ছবি এতবার দেখা হয়নি! ‘ডেইলি মেইলের’ প্রতিবেদন অনুসারে, সাত দিনে ‘এক্সট্র্যাকশন’ পৌঁছে গেছে ৯ কোটি পরিবারের কাছে। আর নেটফ্লিক্সের কোনো চলচ্চিত্রের জন্য এক সপ্তাহে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় সংখ্যা। ধারণা করা হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে এই ছবি আরও বড় ব্লকবাস্টার হিট করবে।
এই ছবির প্রধান অভিনেতা ‘থর’খ্যাত ক্রিস হেমসওর্থ ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের, প্রযোজক রুশো ভাইদের ও পরিচালক স্যাম হারগেভকে একের পর এক ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করছেন, ভিডিও দিচ্ছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই ‘টেইলর রেক’ ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘কী দারুণ ব্যাপার। “এক্সট্র্যাকশন” নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার প্রিমিয়ার। এই ৯ কোটি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। ছবিটি থেকে যে সাড়া পেলাম, তাতে আমি ধন্য। আপনি যদি এখনো ছবিটি দেখে না থাকেন, তবে এখনই দেখুন।’
এরপর একটি ভিডিওবার্তায় বলেছেন, ‘অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়ে “এক্সট্র্যাকশন” এখন নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে বড় হিট ছবি। আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আপনাদের ভালোবাসি।’
অন্যদিকে এই সিনেমার আরেক ভারতীয় অভিনেতা ক্রিস হেমসওর্থের পোস্ট শেয়ার করে ছোট করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
‘এক্সট্র্যাকশন’ মুক্তির আগেই নানা কারণে আলোচনায় ছিল। ২৪ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়, ক্রিসের ভাষায়, ‘ওয়ার্ল্ড টক’। ভুল উচ্চারণের বাংলা ভাষা, ঢাকা ও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভুলভাবে উপস্থাপন, কোনো বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী না থাকা, ঢাকার ব্যাকড্রপে বানানো হলেও ঢাকায় শুটিং প্রায় হয়নি বললেই চলে, আজগুবি গল্প—এসব নানা কারণে বাংলাদেশি দর্শক কর্তৃক ব্যাপক সমালোচিত হয় ‘এক্সট্র্যাকশন’।
অন্যদিকে, নেটফ্লিক্সে এই মুহূর্তে যে সিরিজটি সবচেয়ে বেশি স্ট্রিমিং হচ্ছে তার নাম ‘নেভার হ্যাভ আই এভার’। এই সিরিজের মূল চরিত্র একজন ভারতীয়-মার্কিন কিশোরী।