হালনাগাদে টেস্টের রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বেড়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির রেটিং পয়েন্ট।
বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্টের স্মৃতি দারুণ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে জিতেছিল মুমিনুল হকের দল। কিন্তু আইসিসির বার্ষিক হালনাগাদে দেখা যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের আসল চেহারা। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাদা বলের ক্রিকেটে অবশ্য রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। ওয়ানডের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ১, টি-টোয়েন্টিতে ২। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডের ধারাবাহিক দল বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়ে তেমন পরিবর্তন নেই। হালনাগাদের পর ১ রেটিং পয়েন্ট যোগ হয়ে বাংলাদেশ ৮৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে আছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতির প্রতিফলন ঘটেছে র্যাঙ্কিংয় টেবিলে। টি-টোয়েন্টিতে ২ রেটিং পয়েন্ট যোগ হওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে উঠে এসেছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ৭ নম্বর দল শ্রীলঙ্কা থেকে ১ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে ১০ নম্বরে নেমে গেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট সমান (২২৯) হলেও ভগ্নাংশের হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এছাড়া বার্ষিক হালনাগাদ শেষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে বরাবরের মতোই বিশ্বকাপ জয়ী দল ইংল্যান্ড শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে জায়গা পাওয়ার খবর পেয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ’খবরটা পেয়ে গর্ব হচ্ছে ছেলেদের নিয়ে। এমন সময়ে কিছুটা হলেও সবার মুখে হাসি ফুটবে, এটা ভালো দিক। তবে আমাদের দল হিসেবে যেখানে পৌঁছানোর ইচ্ছে, সেখানে পৌঁছাতে অনেক কাজ করতে হবে। তবে গত দুই বছর মাঠে ও মাঠের বাইরে ছেলেদের পারফরম্যান্স আমাদের অন্য দেশ গুলোর সম্মান আদায় করতে সাহায্য করেছে।’