বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের লোকজন এবং অতি-দরিদ্রদের মাঝে ১৪ লাখের বেশি খাবার প্যাকেট পৌঁছে দিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক-এর সঙ্গে কাজ করছে পেপসিকো ফাউন্ডেশন।
ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানি পেপসিকোর জনসেবামূলক অঙ্গসংগঠন ‘পেপসিকো ফাউন্ডেশন’ এর এই উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে কাজ করবে ব্র্যাক। বৈশ্বিকভাবে পেপসিকোর নেওয়া #GiveMealsGiveHope উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে খাবার বিতরণ করবে।
পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার দেবাশীষ দেব বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার জন্য ব্র্যাক-এর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েছি। এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই কঠিন সময়ে দেশের সেবায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘মহামারির ফলে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখো দিনমজুর এবং অতি-দরিদ্র জনগণ। ব্র্যাকের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দেশের ১৪ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো তীব্র খাদ্য সংকটে আছে। পেপসিকো বাংলাদেশের জরুরি খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগটি এই পরিস্থিতিতে একটি সময়োপযোগী এবং কার্যকর সমাধান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্র্যাক ইতোমধ্যে তিন লাখ পরিবারকে অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের জন্য অর্থ সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে, তবে এর চাহিদা আরও বেশি। এমন সংকটপূর্ণ সময়ে পেপসিকোর এই উদ্যোগ আমাদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক সবসময় অতি-অসহায় মানুষ যেমন: বৃদ্ধ, গর্ভবতী কিংবা স্তন্যদায়ী মা, প্রতিবন্ধী, নারীপ্রধান পরিবার, অতি দারিদ্রের মধ্যে বসবাসকারী জনগণ এবং যারা বিভিন্ন কারণে সহায়তা পাচ্ছে না এমন মানুষদের অগ্রাধিকার দিয়ে যাবে।’
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে পেপসিকো। সেই প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ৫০ লক্ষ খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা।