লিখেছেন এস এম নাদিম মাহমুদ
হলিউডের সিংহভাগ সিনেমাগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারিদের হিরো বানানো হয়। সিনেমাগুলোতে সামরিক বাহিনীকে দেশের ত্রাতা হিসেবে উপস্থাপন করার ভঙ্গি হলিউডের পরিচালকদের অনেক পুরাতন নীতি। মার্কিন সেনাবাহিনীকে সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের ব্যবহার করতে পারে এমন চিত্রায়ন আমার দেখা সৌভাগ্য হয়নি।
তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপন করেছে সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত স্যাম হারগ্রেভের ‘এক্সট্র্যাকশন’ সিনেমাতে। আমি সত্যি অবাক হয়ে গিয়েছি এই সিনেমা দেখে।
সিনেমাতে স্পষ্টত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাককে ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসী গডফাদারদের পক্ষে। দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাবাহিনীকে সিনেমায় তুলে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, এই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের কথায় উঠবস করে।
অন্যদেশের সিনেমাগুলো সেনাবাহিনীদের নিয়ে করা হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন একটা নেই। তবে এক্সট্র্যাকশন সিনেমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সারা বিশ্বে একটা ভুল বার্তা যেতে পারে। অনেকে মনে করতে পারে, এই দেশের সেনাবাহিনী বুঝি সন্ত্রাসীদের পক্ষে কাজ করে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট নিয়ে এতো বড় সিনেমা আর হয়নি। ভারতের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এক গডফাদারের ছেলের অপহরণকে নিয়ে সাজানো এই সিনেমায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র্যাবকেও ব্যবহার করা হয়েছে সন্ত্রাসীগ্রুপের পক্ষে। যা বড়ই বেমানান লজ্জাকর।
যুক্তরাষ্ট্র কেন আমার বিশ্বাস, এই সিনেমায় যদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হতো, তারা কখনোই এইভাবে নেগেটিভভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দিতো না। ক্রিস হেমসওর্থ তৈরি এক্সট্র্যাকশন সিনেমার প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এটি কি শুধুই সিনেমা নাকি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র তা ভাবনার সময় এসেছে। আশা করি, বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবে। দেশের সেনাবাহিনীদের ভাবমূর্তি রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।