অনলাইন ডেস্ক:
জার্মানির বার্লিনে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার বিক্ষোভ করা কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ করেছে জার্মান পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ‘আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন। সেই সাথে ‘সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা কর’, ‘স্বাধীনতাই শেষ কথা না কিন্তু স্বাধীনতা ব্যতীত সবকিছুই মূল্যহীন’ এবং ‘বাবা, চুম্বন কী?’ এই জাতীয় প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করছিলেন।
কিছু প্রতিবাদকারী শারীরিক দূরত্ব অনুসারে মুখোশ পরে মাটিতে বসে ছিলেন, কিন্তু অন্য অনেকেই একসাথে দলবদ্ধভাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।
বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন দেশের মতো জার্মানিও কোভিড -১৯ সংক্রমণকে কমানোর জন্য জনজীবনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ১ মার্চ থেকে সেখানে লকডাউন শুরু হয়েছে।
‘গণতান্ত্রিক বাধা’ শিরোনামে সংবাদপত্রের লেখা সাথে নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করছিলেন। এসব সংবাদে লেখা হয়েছে যে এ ধরণের তৎপরতা হচ্ছে নতুন করে করোনাভাইরাস এর ভয় ছড়িয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলে রাখার চক্রান্ত। এর পক্ষে সংবাদপত্রগুলো সারা বিশ্বের ১২৭ জন ডাক্তারের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করেছে; যারা কঠোরভাবে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
পুলিশের মুখপাত্র থিলো ক্যাবলিজ (Thilo Cablitz) জানিয়েছেন, সংবাদপত্র বিতরণ কাজের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকাশ্য বিক্ষোভের জন্য অনুমতি দেয়নি।
ক্যাবলিজ বলছেন, ‘করোনাভাইরাসের এ সময়কালে এবং নিয়ন্ত্রণের নিয়ম অনুসারে আমরা একটি সমাবেশ রোধ করতে বাধ্য।’ এ সময়ে আরো ১৮০ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জার্মানির সাংবিধানিক আদালত এই মাসের গোড়ার দিকে একটি মামলার রায়ে বলেছে যে গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীরা যদি সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলেন তবে তারা বিক্ষোভ করার অধিকার রাখেন।
সাদা গোলাপ হাতে সান্দ্রা নামের একজন বিক্ষোভকারী বলছিলেন যে, ‘আমরা আজ এখানে আছি… আমাদের মতামতের পক্ষে দাঁড়াতে। সাংবিধানিক অধিকার, স্বাধীনতা এবং সর্বোপরি বাকস্বাধীনতার সুরক্ষার জন্য।’
বর্তমানে জার্মানি হচ্ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের দিক থেকে ৫ম অবস্থানে। আমেরিকা, ইটালি, স্পেন এবং ফ্রান্সের পরেই জার্মানির অবস্থান, যদিও সেখানে মৃত্যুহার অনেক কম। এ অবস্থায় মে মাসের ৩ তাং অবধি সেখানো লকডাউন জারি করা হয়েছে।
(ভোরের আলো/ফআ)