অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশ থেকে চুরি অথবা জোর খাটিয়ে ইসরায়েলে নিয়েছিলেন দেশটির দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। এবার আবারো একই ধরণের কাজ করেছে কুখ্যাত এই সংস্থাটি। হাহাকারের এই সময়ে বেশি দাম দিয়ে হোক কিংবা প্রতারণার মাধ্যমেই হোক- অন্য দেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে মেডিক্যাল সরঞ্জাম ইসরায়েলে নিয়েছে মোসাদ। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে, মোসাদ ইসরায়েলে আরো বিপুল পরিমাণ করোনভাইরাস সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নতুন সরবরাহ করা এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে, পিসিআর কিটস সহ আরো এক হাজার করোন ভাইরাস পরীক্ষার সরঞ্জাম। এছাড়া আরো রয়েছে, ভেন্টিলেটর, হ্যান্ড স্যানিটাইজিং জেল তৈরির ফ্লাস্ক, দক্ষিণ কোরিয়ার রিএজেন্টস, টেস্ট করার জন্য ব্যবহৃত একটি মেডিকেল পণ্য এবং ভারত থেকে এইচআইভি ওষুধ যা বর্তমানে করোনভাইরাস রোগীদের পরীক্ষামূলক চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
চ্যানেল-১২ আরো বলেছে, মোসাদ ৪৭টি ভিন্ন ভিন্ন ওষুধ এবং অ্যানেসথেটিকস কেনার বা অন্য যে কোন উপায়ে অর্জন করার বিষয়ে কাজ করছে। বর্তমানে ইসরায়েলে এই ওষুদ ও সরঞ্জামগুলোর অভাব রয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মোসাদকে বিদেশ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করার দায়িত্ব দিয়েছে ইসরায়েল। মোসাদ পরিচালক ইয়োসি কোহেন জাতীয় সুরক্ষা ইউনিট এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি বিশেষ কমান্ড কেন্দ্রের প্রধান। এই সংস্থাটি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে ভেন্টিলেটর, ১০ লাখ এন-৯৫ মাস্কসহ এক কোটিরও বেশি মেডিক্যাল সরঞ্জাম ইসরায়েলে নিয়েছে।
করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভূত স্পেন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু উন্নত দেশ মাস্ক ও করোনা পরীক্ষার বিভিন্ন কিটের জন্য হা-পিত্যেশ করছে। অথচ মোসাদ ইসরায়েলের জন্য এরই মধ্যে লাখ লাখ পিস মাস্ক ও কিট সংগ্রহ করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকেও মোসাদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব মাস্ক ও কিটের আমদানি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কোথা থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাননি তারা।
সূত্র- জেরুজালেম পোস্ট।
(ভোরের আলো/ফআ)