করোনা পরিস্থিতির কারণে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে এ বছর তারাবির নামাজ দশ রাকাত পড়া হবে। সোমবার (২০ এপ্রিল) বাদ এশা হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন রমজানে তারাবি ও অন্যান্য বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ সুদাইস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান বিশ্ব করোনার অদৃশ্য থাবায় আক্রান্ত। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে হারামাইন প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে রমজান সংশ্লিষ্ট কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত শুধু মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জন্য। দেশের অন্য মসজিদের ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া পুরনো সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। সিদ্ধান্তগুলো হলো
এক. সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবি ও শেষ দশ দিন তাহাজ্জুদের (কিয়ামুল লাইল) জামাত চলবে। দুই. ইমাম-মুয়াজ্জিন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ। তিন. যাবতীয় ইফতার আয়োজন ও পরিবেশনা স্থগিত। এর পরিবর্তে মক্কা-মদিনাজুড়ে প্যাকেটজাত ইফতার বিতরণ করা হবে। চার. ইতেকাফের কোনো ব্যবস্থাপনা এবার থাকছে না। পাঁচ. বিশ রাকাতের স্থলে তারাবি হবে পাঁচ সালামে মোট দশ রাকাত। ছয়. প্রতিদিন দুজন ইমামের একজন তারাবির প্রথম ছয় রাকাত এবং অপরজন বেতরসহ অবশিষ্ট চার রাকাত নামাজ পড়াবেন।
সাত. প্রত্যেহ তারাবিতে কোরআনে কারিমের শুরু হতে সুনির্দিষ্ট একটি অংশ তেলাওয়াত করা হবে। আট. শেষ দশ দিনের তাহাজ্জুদে তারাবিতে পঠিত তেলাওয়াতের ধারাবাহিকতা বহাল থাকবে এবং ২৯ রোজায় কোরআন খতম করা হবে। নয়. বিতরের নামাজে কুনুতের দোয়া সংক্ষেপে। তবে অর্থবহ করে উপস্থাপন করা হবে।
দশ. ওমরাহর স্থগিতাদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বহিরাগতদের ওমরাহর ভিসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ ১৭ মার্চ দেশটির সব মসজিদে জুমা ও জামাতে নামাজ সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়।