অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। দেশটিতে যখন প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, তখন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দোহাই দিয়ে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা। এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাদের সমর্থন দিচ্ছেন।
অপরদিকে ডেমোক্রেটদের দাবি, লকডাউন প্রত্যাহার করলে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। তাই লকডাউন আরও কিছুদিন বহাল রাখা প্রয়োজন।
লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে গত সপ্তাহে মিশিগান, ওহাইও, নর্থ ক্যারোলিনা, মিনেসোটা, উতাহ, ভার্জিনিয়া, কেনটাকি ও ভার্জিনিয়াসহ ১৮টি রাজ্যে রিপাবলিকান সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছে। এমনকি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজন ‘সামাজিক দূরত্ব’ ও মাস্ক পরার নির্দেশনা অবজ্ঞা করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, লকডাউনের কারণে চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে ক্ষতি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি।
সব রাজ্যে অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা সমান নয়। কোথাও ২৫-৩০ জন আবার কোথাও কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। ভার্জিনিয়া ও অরিগনে আয়োজিত বিক্ষোভ র্যালিতে অংশ নিয়েছিল মাত্র ২৫- ৩০ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম করোনা প্রাদুর্ভূত অঞ্চল ওয়াশিংটনের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল আড়াই হাজার মানুষ। এই বিক্ষোভের আয়োজকরা রক্ষণশীল ও ট্রাম্পের সমর্থক।
বিক্ষোভকারীদের সমর্থন জানিয়ে রোববার ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই মানুষগুলো মহান। এরা বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল। তারা এখন ফিরতে চায়। তারা তাদের জীবন ফিরে পেতে চায়। তাদের জীবন তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’ ডেমোক্রেট শাসিত মিশিগান, মিনেসোটা ও ভার্জিনায় অঙ্গরাজ্য ‘অবমুক্ত’ করে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
তবে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে যারা বিক্ষোভ করছে তাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার দাবি, এই বিক্ষোভকারীরা করোনার সত্যিকারের হুমকি বুঝতে পারছে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যা করার তা-ই করবে। তবে বিষয় হচ্ছে, আমরা সবাই অধৈর্য্য। আমরা সবাই বের হতে চাই। তবে তারা যা করছে তা দুর্ভাগ্যজনক।’
ভার্জিনিয়ায় ডেমোক্রেট গভর্নর রালফ নর্থাম বলেছেন, ‘এটা বিক্ষোভের সময় নয়।’
ট্রাম্পের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট করোনার পরীক্ষা করাতে পারছেন না, এখন তিনি বিক্ষোভের ওপর নজর দিচ্ছেন।’
(ভোরের আলো/ফআ)