করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এবার স্বেচ্ছায় সিলেটের বিশ্বনাথের দু’টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এ দু’টি গ্রামের বাসিন্দাদের কারো মধ্যে এ পর্যন্ত সর্দি-কাশি কিংবা করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা না গেলেও আগাম সতর্কতার জন্য গ্রামের সচেতন বাসিন্দারা স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছেন। লকডাউন করা গ্রামের একটি হচ্ছে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দোহাল আর অপরটি হচ্ছে দোহালের পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রাম।
বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ওই দু’টি গ্রামের বাসিন্দা ছাড়া অন্য এলাকার কেউ যাতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া গ্রামে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য বাঁশ বেঁধে গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। আর সেখানে লকডাউন লিখেও রেখেছেন। ফলে বাহিরের কেউ যেমন গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না, তেমনি গ্রামের লোকজনও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবেন না।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের মুহরি আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। তাই সকলের নিরাপত্তার জন্য গ্রামের মুরব্বি ও যুবক ভাইদের উদ্যোগে আগাম সতর্কতায় লকডাউন করা হয়েছে।
দোহাল গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদের গ্রামে এখনও কেউ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত নন। কিন্তু তারপরও আগাম সতর্কতার জন্য পঞ্চায়েতের সম্মতিতে স্বেচ্ছায় তারা তাদের গ্রামকে লকডাউন করেছেন।
তবে, স্বেচ্ছায় লকডাউনকে ভিন্ন চোঁখে দেখছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তাদের মতে, বাইরে বাঁশ বেঁধে লকডাউন করে ভিতরে কিছুই মানা হলো না। অবাধে চলাফেরা করলেন, তাহলে এই লকডাউনের মানে কি হবে। অতি উৎসাহিত হওয়াওতো এই মুহূর্তে ঠিক হবে না।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, উদ্যোগ ভালো। তবে, এভাবে লকডাউন করা হলে মানুষের মনে আরও আতঙ্ক ছাড়তে পারে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে না জানিয়ে কোন গ্রাম এই মুহূর্তে লকডাউন করা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও মো. কামরুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, অবশ্যই এটি ভালো উদ্যোগ। তবে, লকডাউন করতে হলে প্রশাসন করে দিবে। অতি উৎসাহিত হয়ে লকডাউন করাটাও ঠিক না। কারণ এই মুহূর্তে যদি ওই গ্রাম দু’টিতে আগুন লাগে তাহলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।