মাস্ক ভাইরাস ছড়ানো রোধ করতে পারে: কানাডার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

করোনাভাইরাস ছড়ানো রোধে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন কানাডার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম। পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে তিনি বলেছেন, ‘শরীরে কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ ভাইরাস ছড়ানো রোধ করতে পারে।’

তিনি জানান, নতুন এই নির্দেশিকা কেবল ‘নন-মেডিকেল মাস্ক’ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এটিকে ‘অতিরিক্ত পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। শারীরিক দূরত্ব এবং হাত ধোয়ার বিকল্প হিসেবে নয়।

মেডিকেল মাস্কগুলো স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা দরকার বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৩০ মার্চ ট্যাম বলেছিলেন, ‘আক্রান্ত না হলে কারো মাস্ক পরে থাকার উপকারিতা তেমন নেই।’ তবে গতকাল তিনি জানান, নতুন গবেষণায় উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ মেলায় সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন, এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পরতে হবে। যেমন: গণপরিবহনে চড়লে এবং বাজারে গেলে মাস্কের কোনো বিকল্প নেই।’

এর তিনদিন আগে করোনার বিস্তার ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে তারও নির্দেশনা প্রদান করে তারা।

এ ছাড়াও, চীন ও হংকংকে প্রায় এক মাস ধরে লোকজনকে মাস্ক পরতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধ্য করা হচ্ছে। এশিয়ার বাইরে ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়া এবং চেক রিপাবলিকে জনবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ‘করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় বা কারও অসুস্থ কোনো ব্যক্তির সেবা করার প্রয়োজন হয়, তাহলেই কেবল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’

তবে জনগণকে কাপড় অথবা বাড়িতে তৈরি মাস্ক পরতে উৎসাহিত করে এমন সরকারি উদ্যোগে সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ