করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেছেন পাকিস্তানের শত শত চিকিৎসক। বিক্ষোভ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১৫০ জন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
সোমবার দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটায় চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, করোনা চিকিৎসায় সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতির অভিযোগ এনে কোয়েটার প্রধান হাসপাতালের সামনে শত শত চিকিৎসক ও প্যারামেডিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে সেখান থেকে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যান বিক্ষোভকারীরা।
কোয়েটা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক চিমা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করায় বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। বিক্ষোভস্থল থেকে ১৫০ চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে প্রাদেশিক সরকারের নির্দেশে চিকিৎসকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শেহওয়ানি বলেন, মাস্ক এবং সুরক্ষা চশমাসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করেন। শিগগিরই তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলে আমরা চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেছি। ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী পাওয়ার পর সেগুলো চিকিৎসকদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
কোয়েটার চিকিৎসক সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আচাকজাই বলেন, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করছে না। সে কারণেই আমরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হয়েছি।
পাকিস্তানে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৬২ এবং মারা গেছেন ৫২ জন। তবে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। নতুন এই করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৫৩৮ এবং মারা গেছেন ৭০ হাজার ৭৯৭ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩ জন।