ভোরের আলো ডেষ্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যালেরিয়াপ্রতিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন দিতে রাজি হয়েছে ভারত। ট্রাম্পের হুমকির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন রফতানি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে।
মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, যে সব দেশ করোনা মহামারীতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত; সে সব দেশকে এ ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন আমদানি নিয়ে তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘যদি তারা সরবরাহের অনুমতি না দেন তা হলে ঠিক আছে। তার ফলও ভোগ করতে হবে।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখেই ভারত ম্যালেরিয়াবিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভারত সবচেয়ে বেশি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি করে থাকে।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ভারত সব সময়েই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে মানবতার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, ভারত প্যারাসিটামল ও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ যথাযথ পরিমাণে আমাদের প্রতিটি প্রতিবেশী দেশকে সরবরাহ করবে। যে সব দেশ করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও আমরা এই প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করব।’
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের আক্রমণ বিপজ্জনক পর্যায়ে। নিউইয়র্কসহ প্রায় প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে তৈরি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়াপ্রতিরোধী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর এই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ট্রিটমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এর আগে ভারত সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর কথা বলে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও ব্যথা উপশমকারী প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নাখোশ হয়ে ভারতের সমালোচনা করেন। এর পরিণতি খারাপ হবে বলেও হুশিয়ারি দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত আগের সিদ্ধান্ত পাল্টিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।