ভোরের আলো রিপোর্ট: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে লকডাউন, কারফিউ ও জরুরি অবস্থা জারির মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় করোনা সংক্রমণের গতি কিছুটা থেমেছে। তবে এখনও প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা কমেনি। তাই এখনই মানুষকে ঘরে রাখার কঠোর ব্যবস্থা শিথিল করা যাবে না।
বুধবার (৮ এপ্রিল) করোনা প্রতিরোধে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টিনা লুদ্যমেয়ার এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো, এখনই কঠোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসা যাবে না। এটা অনেকটা সুস্থ হওয়ার আগেই বিছানা ছেড়ে উঠে যাওয়ার মতো। আপনি যদি এ কাজ করেন, তবে আবার অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে জটিলতা আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, লকডাউন ও কোয়ারেন্টিনের মতো পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে মূলত ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সময় নেওয়া হচ্ছে। এই সময়ে নতুন করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করতে হবে এবং একে পুরোপুরি বিলুপ্ত করার চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় করোনাভাইরাসকে ঠেকানোর দ্বিতীয় সুযোগও হাতছাড়া হতে পারে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৪ লাখ ১১ জাচার ৩৪৮। এদের মধ্যে চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে ৩ লাখ ৭৪৯জন । মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮১ হাজার ৪৯ জন।