ভোরের আলো ডেষ্ক: করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বের এক আতঙ্কের নাম। এ মহামারি ভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশে তাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ লাখ। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ১৭৭ জন মানুষের। তবে ইতিবাচক খবর হচ্ছে, এরইমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ১৩২ জন মানুষ।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এর হিসেব অনুযায়ী, করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, চীনে ৭৬ হাজার ৯৬৪ জন, স্পেনে ৩৮ হাজার ৮০ জন, জার্মানিতে ২৮ হাজার ৭০০ জন, ইতালিতে ২১ হাজার ৮১৫ জন, ইরানে ১৯ হাজার ৭৩৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭ হাজার ১৭৭ জন এবং ফ্রান্সে ১২ হাজার ৪২৮ জন।
এদিকে আক্রান্তের দিক থেকে ইতালি, স্পেন, চীনকে পেছনে ফেলে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৭৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৬ জন। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বর্তমান বিশ্বে প্রথমে আছে ইতালির নাম। ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪৮ জন।
এছাড়া চীনে আক্রান্ত ৮১ হাজার ৬৬৯, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩২৯ জনের। ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১২ হাজার ৫১৮ জন। জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত ১ লাখ হাজার ২৪, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৬। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ৮৩৯, প্রাণহানি হয়েছে ৮ হাজার ৭৮ জনের।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইতালি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভাইরাসে মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষণ।