ভোরের আলো ডেষ্ক: আঁধারে জোর করে নেয়া গাড়িভর্তি ত্রাণের ১২৫ বস্তা চাল কাউন্সিলরের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
শুক্রবার বিকালে সিসিকের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর এ কে এ লায়েকের মুন্সিপাড়া বাসা থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।
সিসিকের দুই কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর হুমায়ন কবীর ও পিন্টু রায় ১২৫ বস্তা চাল সিসিকের গাড়িতে করে নিয়ে আসেন।
সিসিক সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে অনেকটা জোর করেই ১২৫ বস্তা চাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ব্যাপারে ত্রাণ গ্রহণ ও বণ্টন শাখায় নিয়োজিত সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন বলেন, ওই রাতে ত্রাণ গ্রহণের ঝামেলা থাকায় গাড়িতে থাকা ১২৫ বস্তা চালের গাড়িটি নিয়ম না মেনে নিয়ে যান ওই কাউন্সিলর। বিষয়টি বিদ্যুৎ শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আলমকে জানিয়ে ১২৫ বস্তা চাল নিয়েছেন মর্মে উপস্থিত ওই কাউন্সিলরের স্ত্রীর স্বাক্ষর রেখেছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের জানালেও তিনি চালের গাড়ি ফেরত দেননি। এরপরও স্থানীয় আওয়ামী লীগের মাধ্যমে সার্ভে করে দেখা গেছে ১ হাজার ৫৩৮ পরিবার আছে ওই ওয়ার্ডে। আর সিসিকের সার্ভেতে এসেছে ১৮শ পরিবারের হিসাব। এরপরও ওই কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে বাড়তি হিসেবে ২ হাজার ৫শ প্যাকেট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, গত বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে নগর ভবনের ফটক থেকে ত্রাণের চালভর্তি গাড়িটি নিজ বাসায় নিয়ে যান ওই কাউন্সিলর। এটা যথারীতি শৃঙ্খলা পরিপন্থী।
তিনি বলেন, ওই কাউন্সিলরকে তার ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের তালিকা দিতে বললে তিনি সাড়ে ৬ হাজার পরিবারের তালিকা জমা দেন সিসিকে। যা ভোটারের থেকেও বেশি হতে পারে। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সাবেক কাউন্সিলরদের দিয়ে সার্ভেমতে ওই ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫৩৮ পরিবার রয়েছে, যারা ত্রাণ পেতে পারেন। এরপরও তাকে ২৫০০টি প্যাকেট বাড়তি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছি।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর একেএ লায়েক বলেন, আমাকে তালিকা দিতে বলা হয়েছিল। তাই ওয়ার্ডের ৬ হাজার ৫০০ পরিবারের তালিকা দিয়েছি। তারা বিতরণের জন্য বুধবার রাতে একটি গাড়িতে ১২৫ বস্তা চাল পাঠিয়েছিলেন। শুক্রবার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ দু’জন কর্মকর্তার কাছে চালগুলো ফেরত দিয়েছি। তারা বুঝে পেয়েছেন বলে লিখিত দিয়ে গেছেন। এছাড়া আমার ওয়ার্ডে ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ দেয়া হবে।