আমেরিকার টেক্সাসের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি গ্রেফেক্সের বিজ্ঞানীরা নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করেছেন।
কোম্পানিটি দ্য হিউস্টন বিজনেস জার্নালকে জানিয়েছে,ভ্যাকসিনটি প্রাণীর শরীরে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
অধিকাংশ ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ মাসের মতো সময় লাগে। মানুষের শরীরে ব্যবহার করতে লেগে যায় আরও কিছুদিন। সেই হিসেবে কোভিড-১৯ নাম পাওয়া নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে আরও সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু ভাইরাসটি দিনে দিনে মহামারি আকার ধারণ করায় বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা জানান, তারা একটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন। ব্যাংকক থেকেও এমন একটি ঘোষণা এসেছে। কিন্তু কোনো ভ্যাকসিনই এখনো মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়নি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে মোট ২২৪৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চীনেই শুধু মারা গেছেন ২১৪৪ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা (১), নেপাল (১), মালয়েশিয়া (২২) এবং ভারতে ৩ জন করে আক্রান্ত হলেও দেশের মূল ভূখণ্ডে এখনো কেউ কবলে পড়েননি। তবে সিঙ্গাপুরে কাজ করতে গিয়ে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ভুক্তভোগীরা সবাই স্লেটার অ্যারোস্পেস হাইটস কনস্ট্রাকশন সাইটের কর্মী। একজনের অবস্থা গুরুতর।
চীনের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ওয়াং চেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই ভাইরাসটি ফ্লুর মতো স্থায়ী রোগে রূপ নিতে পারে। এ জন্য গোটা পৃথিবীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।
এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।