কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচেওয়ান (ইউএসএএসকে) এর গ্লোবাল ইন্সটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস)-তে বহুমুখী গবেষণা ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তার লক্ষে একটি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ স্থাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও কানাডার কৃষিমন্ত্রী (সাসকাচেওয়ান সরকার) ডেভিড ম্যারিটের উপস্থিতিতে কানাডার জিআইএফএস এবং বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএআরসি’র একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ চুক্তির আওতায়, দেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষে জিআইএফএস ও বিএআরসি একটি বহুমুখী গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন অংশীদারিতে কাজ করবে। এই সমঝোতা স্মারকের কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- জিআইএফএস-এ একটি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠা, বিএআরসি এ একই ধরনের একটি সংযোগ, স্বাধীন বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টা ও এ লক্ষে তাঁর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা। খবর বাসসের।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কানাডার সহায়তার ও দীর্ঘ দিনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন স্বরূপ যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো এগ্রিকালচারাল টেকনোলোজি সেন্টার’ নামে একটি কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. রাজ্জাক ভূমি ক্ষয় ও ভূমিহ্রাস, পানি সম্পদ হ্রাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মতো নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন তুলে ধরেন। তিনি আশা করেন যে, জিআইএফএস এর সাথে এই অংশীদারিত্ব সরকারকে তার লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং সাসকাচেওয়ান ও কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে জোরদারে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে।
সাসকাচেওয়ানের কৃষিমন্ত্রী ডেভিড ম্যারিট বলেন, এই সম্পর্কটি গবেষক পর্যায়ে করা হলে ভবিষ্যতে কৃষিকে নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কানাডার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে, যা কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহা পরিচালক (আমেরিকাস) ফেরদৌসি শারিয়ার, ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়েট প্রেফোন্টেইন এবং কৃষি সচিব এম নাসিরুজ্জামান।
ব্র্যাকের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহম্মদ বখতিয়ার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও গতকাল স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটির বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। পাঁচ বছরব্যাপী চুক্তিটি কৃষি গবেষণা ও বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য জ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের লক্ষে করা হয়েছে।
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঢাকায় স্টিফেনে ভিসচার (সিবিই), জিআইএফএস এর নেতৃত্বে কানাডার ১৬ সদস্যের আরেকটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছেন। ওই দলটিতে ইউএসএএসকে গবেষণা সংগঠন- গ্লোবাল ইন্সটিটিউট ফর ওয়াটার সিকিউরিটি, কলেজেস অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োরিসোর্স, আর্টস অ্যান্ড সাইন্স অ্যান্ড ফার্মাসি অ্যান্ড নিউট্রিশন, কানাডিয়ান লাইট সোর্সের পাশাপাশি ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।