দীন ইসলাম: ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল। মাত্র চার বছরে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। টাকার অঙ্কে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা। অস্তিত্ববিহীন কোম্পানি গঠন করে এসব টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছেন বেসিক ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল লতিফ বাচ্চু। এ সময়ে ব্যাংকটির দিলকুশা, ণ্ডলশান ও শান্তিনগর শাখা থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর গত সাত বছর ধরে নানা ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বার বারই হতাশাজনক চিত্রের দেখা মিলছে। বাচ্চুর গ্রেপ্তার না হওয়া ও তার ক্ষমতার উৎস নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ অনেকেই বিভিন্ন সময়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে কমিশন নিয়ে সমালোচনা করেন শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেন, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করে চার্জশিট দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করেছে দুদক। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামলা না হওয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের পদত্যাগ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তাপস। তাপসের এমন বক্তব্যের পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতিবাজদের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেছেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে বা জমা হয়েছে, নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে ৫৬ টি মামলা দায়ের করে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই মামলাণ্ডলোতে অভিযুক্ত করা হয়নি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চাপে ক্ষমতাধর দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা যায়নি। তাদেরকে শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান ব্যবস্থা বলতে কিছু ব্যবসায়ি ও ব্যাংকটির কিছু কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা শুধুমাত্র উচ্চ পর্যায়ের আদেশ তামিল করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধারে কাছেও ছিলেন না তারা। কিন্তু এক সময়ের খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি ডুবতে বসলেও এখনও বহাল তবিয়তে বাচ্চু ও পরিচালনা পর্ষদের সবাই। এর আগে বেসিক ব্যাংকে যখন সাধারণ আমানতকারীদের টাকা লুট হচ্ছিল বাচ্চু তখন ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ১১টি ট্টলার ভাসিয়েছিলেন। শুধু বাচ্চুই নন, তার সহযোগী ও পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্যদের পুরস্কৃত করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় পদোন্নতি দিয়ে বসানো হয়। এদিকে ঋণ কেলেঙ্কারিতে সংকটে পড়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। ইচ্ছেমতো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। কোনো আইন বা বিধিমালা নয়, বেসিক ব্যাংকে পরিচালনা পর্ষদই সর্বেসর্বা। এমনকি প্রধান কার্যালয়ের ঋণ যাচাই কমিটি বিরোধিতা করলেও পর্ষদ ঠিকই ঋণের অনুমোদন দিয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করেছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের অধিকাংশ ঋণই ণ্ডরুতর অনিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। এই ঋণ পরিশোধ বা আদায় হওয়ার সম্ভাবনাও কম। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে শুরু থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকাই দেওয়া হয়েছে ১১ মাসে। ব্যাংক সূত্রণ্ডলো বলছে, কার্যত ব্যাংকটির অধিকাংশ ঋণ বিতরণই হয় চেয়ারম্যানের ইচ্ছা অনুসারে।
বেসিক ব্যাংকের যত কুকীর্তি: অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে ব্যাংকের শান্তিনগর, ণ্ডলশান ও দিলকুশা শাখা থেকেই তিন হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে, যার অধিকাংশই ণ্ডরুতর অনিয়মের ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, অধিকাংশ ঋণ মঞ্জুর, ঋণ নবায়ন এবং ঋণসংক্রান্ত অন্যান্য প্রস্তাবে শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে ঋণ যাচাই কমিটি সুপারিশ না করে পর্ষদের সিদ্ধান্ত বা দিকনির্দেশনার জন্য সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের ঋণ যাচাই কমিটি সুস্পষ্টভাবে পর্ষদে দেওয়া স্মারকে নেতিবাচক মতামত দিয়েছে। কিন্তু পর্ষদ ঋণণ্ডলো অনুমোদন করেছে। ঋণ জালিয়াতি নিয়ে দুদককে ২০১৪ সালে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি ও সন্দেহজনক একাউন্টের মাধ্যমে কীভাবে বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার বিবরণ তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে। নিয়ম লঙ্ঘন করে কীভাবে ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তা প্রায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা যায় ৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকটি ঋণ প্রস্তাব নিয়ে ব্যাংকের শাখাণ্ডলো থেকে পর্যবেক্ষণে নেতিবাচক জানানো হওয়ার পরও বেসিক ব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে এর পরিচালনা পর্ষদ ও ঋণ সংক্রান্ত কমিটি তা উপেক্ষা করে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।
নয় বছরেও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির মামলা নিষ্পত্তি করতে পারেনি দুদক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ও বিধি অনুযায়ী কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হয় ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে। আর মামলা দায়েরের পর তদন্ত শেষ করতে হয় সর্বমোট ১৮০ দিনে। কিন্তু বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি অনুসন্ধান থেকে শুরু করে মামলা ও তার তদন্ত নয় বছরেও শেষ করতে পারেনি দুদক। যদিও সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে বেসিক ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে। বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ পায় ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। এরপর অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। একাধিকবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা বদল করে সাড়ে চার বছর পর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। যদিও একটি মামলার তদন্ত কাজও এখনো শেষ করতে পারেনি দুদক। বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ আসার পর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। তাকে পাঁচ দফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তার পরও মামলার তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ২০০৯-১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ণ্ডলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে এ অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৫ সালে রাজধানীর তিনটি থানায় যে ৫৬টি মামলা দায়ের হয়, তাতে আসামির সংখ্যা ১৫৬। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এর মধ্যে ছয় ব্যাংক কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি নয় ব্যবসায়ী জামিনে রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে থাকলেও বেসিক ব্যাংকের এসব ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনেকণ্ডলোই অস্তিত্বহীন। এ কারণে বারবার যোগাযোগ করা হলেও গ্রাহকপক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে তাদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা। বেসিক ব্যাংকের এ ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে ৫৬টি মামলা হলেও কোনোটিতেই ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও পর্ষদ সদস্যদের অভিযোগপত্রে আসামি করা হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দেই মামলার তদন্ত আটকে আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রণ্ডলো। তদন্ত শেষ করতে এত বেশি সময় লাগার বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ট্টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, এটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ঘটনা। এটি শুধু অভিযোগ নয়, এ নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তার পরও তদন্ত শেষ করতে দুদকের এত সময় কেন প্রয়োজন হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।
বেসিক ব্যাংকের কেলেঙ্কারি নিয়ে আদালতের উষ্মা: বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির রাঘব বোয়ালদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় বিভিন্ন সময়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের তলব করে দুদকের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এখন লজ্জায় চোখ ঢাকি। মনে হয় কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকি। আসামিদের সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজশ প্রসঙ্গে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম বলেন, আপনাদের নির্লিপ্ততার কারণে যেসব আসামি ভেতরে আছে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে আপনাদের সখ্য আছে বলে মনে হচ্ছে। চার্জশিট দিতে দেরি করছেন, যাতে আসামিরা জামিন পেয়ে যায়। আমরা তাদের জামিন দিতে বাধ্য হচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টের কয়েক দফা পর্যবেক্ষণের পর ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নেয় দুদক। পাঁচ দফা জিজ্ঞাসাবাদে ঋণ জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল হাই বাচ্চু দাবি করেন, ঋণ দেয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে তিনি নেননি। তত্কালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফখরুল ইসলাম যেসব ঋণ অনুমোদনের নথি পর্ষদে উপস্থাপন করতেন, সবার অনুমতি সাপেক্ষে তিনি সেসব অনুমোদন দিতেন। এখানে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে সেটি ভুলে হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি আবদুল হাই বাচ্চুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক। এর অংশ হিসেবে তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানণ্ডলোর তথ্য যাচাই করে দেখতে চেয়েছে দুদক। গত বছর বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংকিং লেনদেনের সব ধরনের নথিপত্র চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে উপপরিচালক শামসুল আলমের সই করা একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। এদিকে কানাডায় টাকা পাচারকারি ব্যাংক লুটেরাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটি’র মূল কেন্দ্র ড্যানফোর্থের বিভিন্ন গ্রোসারি শপ, রেস্টুরেন্ট বা বাসা এড়িয়ে চলছেন তারা। এসব ব্যক্তিরা বাসায় অনেকটা বন্দি জীবনযাপন করছেন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। তালিকাভূক্ত টাকা পাচারকারিদের ফোন করলেও সাড়া মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, ব্যস্ত আছেন। এই মুহুর্তে কথা বলতে পারবেন না।