মাননীয় মন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়
বিনীত নিবেদন, গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ সালে পাসপোর্টের ম্যানুয়াল রিনিউ বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু সৌদি আরবের বাস্তবতায় গত ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত এটি অফিশিয়ালি চালু ছিলো (জেদ্দা কনসুলেট কর্তৃক, রিয়াদের কথা জানিনা)। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে কনসুলেট কর্তৃক নিচের নোটিশটি পুনরায় বলবত করে।
বিষয়টি অতি জরুরি ভাবে পুনঃমূল্যায়নের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের বর্তমান আইন অনুযায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাসের নিচে হলে ইকামা (লোকাল ওয়ার্ক পারমিট) রিনিউ হয়না, এবং ইকামা তিন দিনের বেশি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে- প্রথমবার পাঁচশো রিয়াল জরিমানা, দ্বিতীয়বার একহাজার রিয়াল এবং তৃতীয়বার হলে ফাইনাল এক্সিট!
সৌদি আরবের সিস্টেমে আগে পাসপোর্টের বাধ্যবাধকতা ছিলোনা এবং বাংলাদেশ থেকেও এমন বাধ্যবাধকতা ছিলোনা বলে বহু বছরের অনভ্যাসের কারণে অধিকাংশ বাংলাদেশির পাসপোর্টই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেই খবর হয়। সৌদি আরব তাদের ইকামা মেয়াদোত্তীর্ণের একমাস আগেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণের ক্ষেত্রে সৌদি প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ জেদ্দা কনসুলেট তেমন কোন মেসেজ সিস্টেম দাঁড় করাতে পারেননি।
ফলাফল, অধিকাংশ মানুষ অজ্ঞতা ও অসচেতনতাবশত পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণের পরেই টের পাচ্ছে, এবং আরও একটা বিষয়, শিক্ষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশেরই ধারণা যাবো আর রিনিউ করে আসবো। এরা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) রি-প্রিন্টের দীর্ঘ প্রসেসটি সেইফ করে ঠেকে ঠেকে (প্রায় তিনমাস)! এই কাউন্টার থেকে ঐ কাউন্টার, সেই কাউন্টার। মাত্রাতিরিক্ত জনচাপে কনসুলেটের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকার পরেও ফ্রেন্ডলি সেবা দেওয়া সম্ভব হয়না।
এরপর আছে ইনস্যুরেন্স ইনকমপ্লিট, ডেমো-জাস্টিফিকেশন, ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতা, ডাবল প্রোফাইলসহ আরও কিছু যা সাধারণ সেবা গ্রহীতার বোধবুদ্ধির বাইরে।
এই অবস্থায় অতি জরুরি বিবেচনায় নিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমানোর অংশ হিসেবে ম্যানুয়ালি রিনিউ সিস্টেমটি অন্তত ২০২০ পুরো সাল চালু রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি (যেহেতু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রায় দুই বছর চালু ছিলো)। এবং পাশাপাশি বন্ধের ঘোষণাটি ন্যূনতম ছয়মাস ডেইলি টিভি, প্রিন্ট মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি।
প্রয়োজনে ম্যানুয়ালি রিনিউর সাথে রিইস্যু বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তবে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে বলেই বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আপনার দ্বারস্থ হয়েছি।
- কামাল আহমেদ: জেদ্দা, সৌদি আরব প্রবাসী।