চীনের উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে অন্তত ১২টি দেশে। চীনে মারা গেছেন ৫৬ জন, আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। এই ভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজেজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বিমানযাত্রীদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষরা করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারে। খবর সিএনএনের।
করোনাভাইরাস ছড়ায় হাঁচি, কাশির মাধ্যমে। ভাইরাসের কারণে রোগীর নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটে; সর্দি ও জ্বর-জ্বরভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, কিডনি অচল হয়ে যাওয়া এই ভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক উপসর্গ।
সতর্কতায় যা করতে হবে
১. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি এমনটা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত, হাঁচি, কাশি রয়েছে এমন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকলে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে।
২. নিজেকে নিরাপদ রাখতে সাবান ও পানি ব্যবহার করে অন্তত ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে। বারবার হাত পরিষ্কার রাখা এই রোগ দূরে রাখার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।
৩. যদি কোনো কারণে পানির নাগাল পাওয়া না যায়, তবে অ্যালকোহল রয়েছে (অন্তত ৬০ ভাগ) এমন তরল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. কারও হাঁচি, কাশি দেখা দিলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তাকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলতে হবে ও নিজে মাস্ক পরতে হবে।
৫. ধারণা করা হচ্ছে, কোনো প্রাণীদেহ (সাপ, বাদুড়) থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। তবু সতর্ক থাকতে যেকোনো মাংস ও ডিম রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া, পশু মার্কেটেও থাকতে হবে নিরাপদে।
বিজ্ঞানীরা যা বলছেন
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। তবে তা খুব শিগগিরই সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। ল্যাবে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা ও ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে বছর-খানেক লেগে যেতে পারে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করোনাভাইরাসকে এখন নতুন হুমকি হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।