চীনে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যজনক ভাইরাস। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জন মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ।
সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭০০ জন। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন।
ইতিমধ্যে ভাইরাসের আক্রমণ বিষয়ে চীনের নাগরিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে অনেককে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। শহরটির সামুদ্রিক খাবার বিক্রির একটি বাজার থেকে সর্বপ্রথম ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে।
উহানে গত সপ্তাহে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হেলথ কমিশন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি। এ থেকে প্রথমেই মনে হতে পারে যে রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস।
নতুন এ ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক নেইল ফার্গুসন বলেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে। তাই এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।
বিভিন্ন চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি। এর পরই রোগীর শারীরিক অবস্থা নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের মতো পরিলক্ষিত।