ইরানের অভিজাত বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে ‘আত্মরক্ষার স্বার্থেই’ ইরাকের মাটিতে হত্যা করা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্টত লঙ্ঘন এবং জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ একজন মানবাধিকার তদন্তকারীসহ মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ সত্ত্বেও এই হত্যাকাণ্ডকে এভাবেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের মধ্যেও হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান এবং বিরোধী ডেমোক্রেট শিবিরেও এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা ও সমালোচনা চলছে। কয়েকজন মার্কিন আইন বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন, ইরাক সরকারের অনুমতি ব্যতীত দেশটির মাটিতে সোলাইমানিকে নিশানা করার আইনি অধিকার ট্রাম্প কোথায় পেলেন?
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন- এই হামলার মাধ্যমে ইরাকে মার্কিন সামরিক অবস্থান সংক্রান্ত চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে ওয়াশিংটন। ইতিমধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
গতকাল (৩ জানুয়ারি) ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদ বিমানবন্দরে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানির গাড়িবহর লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে কাশেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহাদ্দিস-সহ ছয়জন নিহত হন।
এ ঘটনার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ‘অপরাধীদের প্রতি চরম প্রতিশোধ নেওয়ার’ বার্তা দিয়েছেন।