অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ আছে তা থেকে সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি উচিৎ নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে তিন দিনব্যাপী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম-২০১৯ ও কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির এ সভা চলছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনশক্তির দেশকে বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাধা দেয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোনো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও। যেমন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মিয়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মত রোহিঙ্গা আছে তাদের সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া তুরস্ক, জর্ডান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র এক দশক বাকী আছে। আমরা আমাদের যুব সমাজ, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের তথা সারা বিশ্বের মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আজ এবং আগামীর জন্য আরো সুন্দর, আরো স্বপ্নময় একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়া।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাঁধা সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবেশের বিপর্যয়ের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বেশি পরিমাণ কার্বন নিঃশরণকারী দেশেগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’