কানাডার টরন্টো শহরের ডেনফোর্থস্থ বাংলাদেশ সেন্টারে আনুষ্ঠিত হয়ে গেল কথা সাহিত্যক ড. তাবারক হোসেনের ‘অণু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান। বইটিতে স্থান পেয়েছে ৫১টি অণু-গল্প। মানুষের মনস্তাত্বিক চিন্তা-ভাবনা, অনুভব অনুভুতির সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়গণ্ডলোকে তুলে ধরে মানব জীবনের সংসার, সমাজ ও জীবন যাপনের বাস্তব চিত্রকে লিখক তার অণু-গল্পণ্ডলোতে সহজবোধ্য করে প্রকাশ করেছেন।
অণু গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রকাশনা সংস্থা অবসর প্রকাশনী। সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে ফারহানা শান্তার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বপ্রথম ড. তাবারক হোসেনের জীবনে শিক্ষা, পেশা এবং সাহিত্য জীবনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দিক বর্ণনা করে স্বল্পদৈর্ঘ্য একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ এসোসিয়ন অব কানাডা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জনাব মহিউদ্দিন আহমদের স্বাগত ভাষনের পর বক্তব্য রাখেন ড. মোজাম্মেল হক খান, অধ্যাপিকা তাসরিনা শিখা, রোজিনা চৌধুরী নার্গিস, কবি আসাদ চৌধুরী, ডলি বেগম এমপিপি এবং নুরুল ইসলাম। সর্বশেষে আনন্দঘণ পরিবেশে ড. তাবারক হোসেন তার ‘অণু’ গ্রস্থটি লিখার পটভূমি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বর্ণনা করে হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হল; দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের নারী-পুরুষ, বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লিখক, গবেষকদের সাথে বহু ণ্ডণি জনের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটি এক সার্বজনিন মিলন মেলায় পরিণত হয়। বই প্রকাশের অনুষ্ঠানটি এক পর্যায়ে ড. তাবারক হোসেনকে সংবর্ধনা ও অভিনন্দন প্রদানে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে। নারায়ণগঞ্জ এসোসিয়ন অব কানাডার পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান ফাতিমা আখতার, বাচনিকের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান হোসনে আরা জেমী, এন আর বি টিভির পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান রেজাউল হক।
নজরুল ফাউণ্ডেশন, টরন্টো, কানাডার পক্ষ থেকে মার্বেল পাথরে খোদাই করা “Dr. Md. Tabarak Hossain Buiyan -A Pioneer of Flash Fiction in Bangali Literature” বাণী সহ দুটি কলম ড. তাবারক হোসেন এবং তার স্বনাম ধন্য পত্নী রোজিনা চৌধুরী নার্গিসের হাতে তুলে দেন সর্বজন শ্রদ্ধেও কবি আসাদ চৌধুরী।
‘অণু-গল্প’ গ্রন্থের ফুলওয়ালী গল্পের শিক্ষা এবং অনুপ্রেরনায় আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জীবন গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে; ডলি বেগম এমপিপিকে নতুন প্রজন্মের প্রতীকি প্রতিনিধি হিসেবে ক্রিস্টল পাথরের তৈরী একটি শাপলা ফুল তার হাতে তুলে দেন কবি আসাদ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম।
কাণায় কাণায় হল ভর্তি দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে আরও বিশিষ্টব্যক্তিবর্গ যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কয়জন হচ্ছেন, বিশিষ্ট গবেষক ও লিখক শুভ্রত কুমার দাস, ব্যারিস্টার সাকিবুল আলম, হিমাদ্রি রায় সঞ্জীব, ড. শিবলি নোমানি, মুক্তি প্রসাদ, আনোয়ার কামাল, ব্যারিস্টার ওমর জাহিদ, ব্যারিষ্টার জয়ন্ত কুমার সিংহা, জহুরুল ইসলাম, আহমাদ আব্দুল্লাহ রুমী, মঈন চৌধুরী, ইসমাত আরা, এড. এম এ মালিক, ড. সিরাজুল হক চৌধুরী, প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে গান পরিবেশন করেন ফারহানা শান্তা, মুক্তি প্রসাদ, রিপাত শান্তা এবং শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ত্বে ছিলেন মহি উদ্দিন আহমদ, চিত্রগ্রহণে ছিলেন মনির হোসেন এবং আতাউর রহমান, শব্দ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকনিক্যাল সহায়তায় ছিলেন শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্টানটি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন বিশিষ্ট রিয়েল্টর আনোয়ার কামাল, ব্যারিস্টার ওমর জাহিদ ও ব্যারিস্টার জয়ন্ত সিংহা।
হালকা নাস্তা এবং নৈশভোজ পরিবেশনার দায়িত্বে ছিলেনআকবর হোসেন ভূইঁয়া।
সবাইকে অশেষ ধণ্যবাদ জানিয়ে রাত নয়টা ত্রিশ মিনিটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।