অতিদ্রুত পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হওয়ার আশা ব্যক্ত করে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেছেন, এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব উদ্যোগের ফলে অতিদ্রুত পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য চার গুণ বৃদ্ধি করায় এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সচিবকে উদ্ধৃত করে ইউএনবির খবরে বলা হয়, সমুদ্রপথে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেড় মাসের মত সময় লেগে যাচ্ছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশের উদ্দেশে সমুদ্রপথে রয়েছে।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আপৎকালীন সমস্যা নিরসনে কার্গো বিমানযোগে মিশর, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।
কার্গো বিমানের প্রথম চালান মঙ্গলবার দেশে এসে পৌঁছাবে জানিয়ে সচিব বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। টিসিবির কার্যক্রম ঢাকাসহ সারাদেশে জোরদার করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের তদারকি অব্যাহত রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে অতিদ্রুত পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।”
দেশের আমদানিকৃত পেঁয়াজের সিংহভাগ ভারত থেকে আসলেও চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। এর পরই লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম যা এক পর্যায়ে প্রতি কেজিতে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।