অটোয়া আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোমা সাইফুদ্দিন এর উপস্থাপনায় ও অটোয়া আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন – প্রধান অতিথি অটোয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর ওমর সেলিম শের, কুইবেক আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সুইট, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন মিয়া, সৈয়দ মেহেদী রাসেল, ড. মনজুর চৌধুরী, অটোয়া আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নূরুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইফুদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় একাত্মতা ঘোষণা ও জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কানাডা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স।
সভায় বক্তারা বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলী- এই চারটি নাম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ চারজনকে বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা অসম্ভব। জাতীয় চার নেতা ছিলেন যেমন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত, তেমনি ছিলেন প্রখর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার অধিকারী।
শেখ মুজিবের সঙ্গে সঙ্গে এই জাতীয় চার নেতা বাঙালী জাতির ইতিহাসে এবং বাঙালীর অন্তরের অন্তঃস্থলে চির জাগ্রত, চির অম্লান, চির ভাস্বর। বাঙালী যখন অন্তরের চোখ দিয়ে শেখ মুজিবকে দেখে, তখন শেখ মুজিবের পাশাপাশি আরও চারটি মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই মুখগুলো হলো আমাদের অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় জাতীয় চার নেতার মুখ।
বক্তারা আরো বলেন, ৩ নভেম্বর হত্যাকান্ডের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ অধিকাংশ দন্ডপ্রাপ্ত আসামি এখনও পলাতক, সুপ্রীমকোর্টের রায় এখনও কার্যকর হয়নি। বাঙালী জাতির ইতিহাসকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হলে ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসমিসহ ৩ নবেম্বরের হত্যাকান্ডের দন্ডপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে। এবারের জেলহত্যা দিবসে এটাই জাতির প্রত্যাশা।