ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিশ্বরোড এলাকায় খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিয়ালের মাংসসহ ২ যুবককে আটক করা হয়।এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭ কেজি শিয়ালের মাংস ও কলিজা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর ) দুপুরের দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এর বিশ্বরোড মোড়ে এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় এসব মাংস উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, সিলেট অঞ্চলের লাখাই উপজেলার মোরাছুড়ি এলাকার মাদু মিয়ার ছেলে আজত আলী সোহেল ও একই এলাকার সাবু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (২০)।
এ ব্যাপারে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত এখানে এই অপকর্ম করে আসছে। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এর বিশ্বরোড মোড়ে এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় ২৭ কেজি শিয়ালের মাংস ও ১০ কেজি কলিজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সোহেল এবং সাদ্দাম নামক ২ যুবককে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল এবং সাদ্দাম সিলেটের পাহাড়ী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি শিয়াল ধরে জবাই করে ৩৭ কেজি মাংস বস্তাবন্দি করে হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাসির মাংস বলে বিক্রি করছিল ওই দুই যুবক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে ছয় কেজি মাংস ও কলিজা বিক্রি করেছে তারা। সরাইল-বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বিক্রি করতে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পরে তাদেরকে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিষ্ট্রেট উভয়কে বন্যপ্রাণী আইনে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, এই চক্রটি শিয়ালের মাংস প্যাকেটজাত করার পর তা খাসির মাংস বলে এখানকার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে আসছিল। এই অপকর্মকারী চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে শিয়ালের মাংসগুলো চাষকৃত পুকুরের পাঙ্গাস মাছকে খাইয়ে ধ্বংস করা হয়।