বাংলাদেশের ডা. আরিফ হোসেন জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাপানিজ সোসাইটি অব ইনহেরিটেড ম্যাটাবলিক ডিজঅর্ডার্সের পক্ষ থেকে তাকে সেরা বিজ্ঞানী নির্বাচিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার জাপানিজ সোসাইটি ফর ইনহ্যারিটেড ম্যাটাবলিক ডিজিজের ৬১তম বার্ষিক সম্মেলনে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
৬১ বছরে এ প্রথম কোনো বিদেশিকে নির্বাচন করা হলো।
জাপানিজ সোসাইটি অব ইনহেরিটেড ম্যাটাবলিক ডিজঅর্ডার্স ‘লাইসোসোমাল রোগের’ প্রভাব, বিস্তার এবং চিকিৎসা আবিষ্কারের জন্য ডা. মো. আরিফ হোসেনকে এ সম্মান দেওয়া হয়।
সুথুমু টাকাহাশীর সভাপতিত্বে তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলনটি দেশটির আকিটা ক্যাসটল হোটেলে আয়োজন করা হয়। খবর ইউএনবি।
অনলাইন জানায়, ডা. আরিফ হোসেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১১ ভাইবোনের মধ্যে ডা. আরিফ হোসেন সবার ছোট। তিনি এসএসসি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে প্রথমে এমবিবিএস পাস করে একই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছেন।
পুরস্কার পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ডা. আরিফ হোসেন বলেন, আমি অনেক আনন্দিত। এটা আমার জন্য ও বাংলাদেশের জন্য একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।
ডা. আরিফ হোসেন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি শিশু নিউরো-মেটাবলিক রোগে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেন। নিউরো-মেটাবলিক রোগের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ওই রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাপানে সিনিয়র গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
নিউরো-মেটাবলিক রোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, নিউরো-মেটাবলিক রোগ সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়। তার মানে হল, মায়ের পেট থেকে শিশু জিনে ত্রুটি নিয়ে বের হয়, পরবর্তীতে ব্রেন, লিভার, কিডনি, হার্টসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়, কিন্তু এদের চিকিৎসা এবং গবেষণা খুব কম হয়েছে। তাই আমি সেটা নিয়ে কাজ করে আনন্দবোধ করি।