কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও ভোলা শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যদিও সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ তাদের আজকের দোয়া-মোনাজাত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার সড়ক ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরে দিনের কোনো এক সময়ে যোগাযোগ আবার শুরু করা হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, যেহেতু ভোলায় ফেসবুকে উস্কানিকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর পর আজ প্রথম জুমার নামাজ, তাই নামাজের পর যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সে জন্যেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ভোলা সদর থেকে চর ফ্যাশন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ এবং ভোলা-বরিশাল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও, জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ভোলা শহরের বিভিন্নস্থানে পাহারা দিচ্ছেন।
এদিকে, বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়- ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও আন্দোলনরত স্থানীয়দের সংঘর্ষে নিহত চারজনের জন্য সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা দোয়া-মোনাজাত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভোলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটের যাত্রীবাহী বাস ও ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ দুপুর ৩টায় ভোলা নিহতদের জন্য সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া ও মোনাজাত কর্মসূচির আহ্বান করেছিলো ভোলায় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। কিন্তু, গতরাতে সেটি স্থগিত করা হয়।
সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, আগে প্রশাসন মৌখিকভাবে তাদের কর্মসূচির জন্য অনুমতি দিলেও গতরাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। অনুমতি না পাওয়ায় তারা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দোয়া কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।