ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে(১৮) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। আর এ রায়ের খবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলো ছাপিয়েছে শিরোনাম করে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, বিবিসি, আল-জাজিরা, এনডিটিভি, ফক্সনিউজ, চ্যানেল নিউজ এশিয়া, রয়টার্সের অনলাইন সংস্করণে খবরটি প্রকাশিত হয়।
বিবিসি শিরোনামে বলছে, নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে ১৬ হত্যাকারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদে আরও জানানো হয়, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও নুসরাতের দুই নারী সহপাঠীও এই হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আদালতের দ্রুততম রায়গুলোর মধ্যে এটি একটি। আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।
আল-জাজিরার শিরোনামে জানানো হয়, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশে ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নুসরাতের বাবা একেএম মুসা মানিক জানান, তিনি আশা করছিলেন সুবিচার পাবেন।
‘আমার মেয়েকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা পুরো দেশ দেখেছে। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাকে এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল,’ বলেন তিনি।
এনডিটিভির শিরোনামে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৯ বছরের নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১৬ আসামির ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। নুসরাতকে হত্যা সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে বলে সংবাদে তথ্য দেওয়া হয়। মামলার কৌঁসুলি হাফিজ আহমেদ বলেন, এই রায় এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কেউ নিষ্কৃতি পাবে না। বাংলাদেশে আইনের শাসন রয়েছে।
এদিকে রয়টার্স জানায়, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় কিশোরী নুসরাতকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অধ্যক্ষসহ ১৬ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ ও দোষীদের বিচারের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাও উঠে আসে রয়টার্সের সংবাদে।