প্রথমবারের মতো আমেরিকানদের তুলনায় বেড়েছে চীনা সম্পদশালীর সংখ্যা। ক্রেডিট সুইসের (সিএস) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা যায়, এশিয়ার দেশটিতে ধনীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমানে ১০ ভাগ অতি ধনীর মধ্যে চীনে রয়েছে ১০ কোটি, অন্যদিকে আমেরিকানদের মধ্যে রয়েছে ৯.৯ কোটি। টানা এগারো বছর ধরে চীনের সম্পদশালীরা ঋণ পরিশোধে কম সুদ ও করের সুযোগ পাচ্ছেন। সম্পদ বাড়ার পেছনে এই কারণ দেখানো হয় প্রতিবেদনে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ১.৮৬ কোটি। যা বিশ্বের মিলিয়নিয়ারদের মধ্যে ৪০ ভাগ। অন্যদিকে চীনে এই সংখ্যক মাত্র ৪৪ লাখ।
রিপোর্টে বলা হয়, গড়পরতা চীনাদের চেয়ে আমেরিকানরা এখনো অনেক সম্পদের অধিকারী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের গড় সম্পদ ৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৬৫ ডলার, বিপরীতে চীনে ৫৮ হাজার ৫৪৪ ডলার।
তবে চীন দাবি করছে, তাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘুরছে। এর ফলে বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধিতে তারা ইউরোপের স্থান দখলে নিচ্ছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ চলমান থাকা সত্ত্বেও সূচকে উন্নতি ঘটছে।
ক্রেডিট সুইস তাদের অ্যানুয়াল গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্টে জানায়, বাণিজ্যিক অবস্থা ও ঋণের মাত্রায় উদ্বেগ থাকলেও চীনের গতি ইতিবাচক।
বিশ্বব্যাপী সম্পদের কেন্দ্রীভবনও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়, নিচের দিকের ৫০ ভাগ প্রাপ্তবয়স্কের হাতে থাকা সম্পদ উপরের দিকে ১ ভাগ মানুষের মোট সম্পদেরও কম। উপরের ১০ ভাগ মানুষের হাতে আছে ৮২ ভাগ সম্পদ। আবার শীর্ষ ১ ভাগের হাতে রয়েছে বৈশ্বিক সম্পদের প্রায় অর্ধেক।