‘জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা এখন অনেক কম, এটি ৩০ জন করা উচিত। করতে হবে এবং বেতন বাড়াতে হবে। তিন বছর ধরে বেতন বাড়ানো হয় না’- আগের দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদের যে সব দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন, সেগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ দাবি ছিল এটি।
১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত ক্রিকেটাররা সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলে জানান। তাদের ধর্মঘটের ঘোষণার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে কয়েকজন পরিচালক নিয়ে অনির্ধারিত সভায় বসেন বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
সভা থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও নাজমুলের কাছ থেকে আসেনি কোন স্পষ্ট ঘোষণা। বরং ষষ্ঠ দাবির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় দলের পাশপাশি বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির (ঘরোয়া লিগের) চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের সংখ্যা উল্লেখ করেন তিনি এবং তাদের নিয়ে বেশ তাচ্ছিল্য করেন।
বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘তাদের দাবি, জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা ও বেতন বাড়াতে হবে। আমার জানা মতে, আমাদের (জাতীয় দলের) চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বিশ্বের সর্বোচ্চগুলোর মধ্যে অন্যতম। সমস্যাটা কী? আমি জানি না। আমাদের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে প্রথম শ্রেণিতে আরও ৮০ (আসলে ৭৯) ক্রিকেটারকে আমরা চুক্তি করে টাকা দিচ্ছি। আরও বাড়াব? ২০০-৩০০ খেলোয়াড়কে টাকা দিব মাসে মাসে? খেলা না পারলেও দেব? কেন? উদ্দেশ্য কী?’
‘আমরা কি খারাপ দিচ্ছি (পারিশ্রমিক)? এমন ভাব করছে ওরা যেন, গণমাধ্যমে এমনভাবে কথা বলছে যেন, আমরা ওদেরকে শেষ করে দিচ্ছি! একটা জায়গা দেখাতে পারবে যেখানে আমরা ওদের সুবিধা দেইনি? আমরা এতটা বাড়িয়েছি যেটা ওরা জীবনে চিন্তাও করতে পারেনি।’
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার সংখ্যা ১৮ জন। তবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা আগের চেয়ে কমানো হয়েছে। আগে ১০৬ খেলোয়াড় চুক্তিবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে এই সংখ্যা ৭৯ জনে নেমেছে। কমানো হলো কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি প্রধান নাজমুল রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, ‘খেলা পারে না। বাজে খেলে। এদের টাকা দিব না।’
‘আমাদের ৭৯-৮০ জন খেলোয়াড় আছে প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে। সঙ্গে আরও ১৮ জন আছে জাতীয় দলের চুক্তিতে। সবমিলিয়ে একশোর বেশি। আমি ২০০ নিতে পারি। তাতে লাভ কী? ক্রিকেটের কী উন্নতি হবে তাতে? যারা ভালো খেলবে, প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওদের আসতে হবে।’