সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের দেনা শোধ না করলে আগামী নভেম্বরে জাতিসংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব সংস্থাটির মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরাস।
তিনি গত ৮ অক্টোবর এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, “চলতি মাসে আমরা চরম অর্থ সংকটে পড়বো। আমরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।… তহবিলে যে পরিমাণ অর্থ রয়েছে তা দিয়ে নভেম্বরে বেতন দেওয়া যাবে না।”
ফলে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ড ও সংস্কার কর্মসূচি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। এর আগে ১৯৩ সদস্যের সংস্থাটির বাজেট কমিটিকে মহাসচিব বলেন, গত জানুয়ারি থেকে খরচ কমানো শুরু না করলে সেপ্টেম্বরে সাধারণ অধিবেশনের খরচ সামলানো মুশকিল হয়ে যেতো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অর্থদাতা। সংস্থাটির চলতি বছরের ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বাজেটের ২২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ার কথা। আগের বাজেটে দেশটির কাছে জাতিসংঘের ৩৮১ মিলিয়ন ডলার এবং চলতি অর্থবছরে ৬৭৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। বারবার অনুরোধ করার পরও যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির পাওনা মেটানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বরং, বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটনকে জাতিসংঘের খরচের একটি বড় অংশ মেটাতে হয় যা খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি বিশ্ব সংস্থাটির সংস্কারের দাবিও জানান।
সেই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব সংস্থাটির খরচ কমানো ও সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তার এই কৃচ্ছতা সাধনেও ফল মিলছে না। অর্থ সংকট এতো প্রকট হয়েছে যে আগামী মাস থেকে বেতন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সংস্থাটির তহবিলে নেই।