প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কারণে দুর্নীতিগ্রস্ত, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজির কাজে অভিযুক্ত মন্ত্রী-এমপিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে ধরা পড়েছেন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্যাসিনোর বেশ কজন মালিক। যারা বেশ প্রভাবশালী।
সে অভিযানের ধাক্কা এসে লেগেছে সিনেমা পাড়ায়ও। বাতাসে বেড়াচ্ছে বেশকিছু চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর নাম। যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দুর্নীতিবাজ নেতার জন্য নানা রকম অবৈধ কাজ করেছেন।
বিশেষ করে সম্প্রতি জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটকের পর থেকেই নায়িকাদের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, পুলিশের হাতে আটক ক্যাসিনো মালিক ও টেন্ডারবাজ জি কে শামীম গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, টেন্ডার পেতে চলচ্চিত্রের নায়িকাদের ব্যবহার করতেন তিনি!
যদিও কোনো নায়িকার নাম প্রকাশ করা হয়নি কোথাও। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কিছু নাম উঠে আসছে। বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী রত্না, এ প্রজন্মের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত, রাহা তানহা খান ও শিরিন শীলার নাম উচ্চারিত হচ্ছে অনেকের মুখে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নায়িকাদের। এ তালিকায় আছেন এ প্রজন্মের আরও বেশ ক’জন প্রভাবশালী ও প্রথম সারির নায়িকাও।
তবে নিজের নাম জড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। তিনি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। অভিযোগের জন্য ভিডিও প্রমাণ চেয়ে মিষ্টি বলেন, ‘আমি কখনো এসব কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব রটানো হচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন যদি তারা প্রমাণ না দিতে পারেন তাহলে আমি অ্যাকশন নেবো। আইনের দ্বারস্থ হবো নিজের সম্মান নষ্ট হলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জি কে শামীম নামের কাউকে আমি চিনি না, যা ছড়ানো হচ্ছে সম্পূর্ণ বানোয়াট গল্প।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শাহদাত হোসেন লিটনের পরিচালনায় ‘লাভ স্টেশন’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর তিনি ‘চিনি বিবি’, ‘তুই আমার’, ‘তুই আমার রানী’ ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত মিষ্টি। খুলনায় জন্ম নেয়া এই নায়িকা ডেন্টাল কলেজে পড়াশোনা করেছেন