রাজধানীর আরও তিনটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর মধ্যে দু’টি ক্যাসিনো থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এসব ক্যাসিনোতে পৃথক অভিযান চালায় র্যাব।
সিলগালা করে দেওয়া ক্যাসিনো দু’টি হচ্ছে- বনানীর আহম্মেদ টাওয়ারের গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ ও গুলিস্তান এলাকার ওয়ান্ডার্স ক্লাব।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ক্যাসিনোটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গুলিস্তান এলাকার ওয়ান্ডার্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের খবর পেয়ে ক্লাবের লোকজন পালিয়ে গেছে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফি বুলবুল বলেন, লোকজন পালিয়ে গেলেও ক্লাবের জুয়ার বোর্ড ও মাদক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
এর আগে, বিকেলে রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ং মেন্স ক্লাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ক্যাসিনোতেও অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ক্যাসিনো থেকে দুই নারীসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রায় একই সময়ে গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাসায় র্যাবের অভিযানে আটক হন খালেদ ভূঁইয়া। এ বাড়িতে তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যেখানে স্ত্রী-সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন তিনি।
এছাড়া, রাজধানীর গুলিস্থান এলাকায় পীর ইয়ামিন মার্কেটের পাশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চলায় র্যাব-৩ এর সদস্যরা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাজধানীর গুলিস্থানের পীর ইয়ামেনী মার্কেট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের ক্যাসিনোটি সিলগালা করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ক্যাসিনো থেকে মাদক, নগদ অর্থ, কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ক্যাসিনো সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর।