কোনো ভাষা চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, বলেছেন ভারতের তুমল জনপ্রিয় তারকা রজনীকান্ত। এক দেশ এক ভাষা ‘হিন্দি ভাষার মাধ্যমেই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব, তাই জাতীয় ভাষা হোক হিন্দি’ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে।
সেই প্রতিবাদে যোগ দিলেন রজনীকান্ত। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কোনো ভাষা জোর করে আরোপ করা যাবে না। দক্ষিণ ও উত্তরের রাজ্যগুলো তাদের ভাষা বাদ দিয়ে কিছুতেই হিন্দি ভাষা গ্রহণ করবে না।”
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অমিত শাহ’র হিন্দি ভাষা বিষয়ক মন্তব্যের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রতিবাদ করেন এবং একটি টুইট করে জানান ‘আমাদের দেশকে হিন্দি ভাষার মাধ্যমেই ঐক্যবদ্ধ করে তোলা সম্ভব’ এমন দাবি একেবারেই অযৌক্তিক।
গত শনিবার জাতীয় হিন্দি দিবসে অমিত শাহ বলেন, “হিন্দি ভাষার মাধ্যমেই ভারতকে এক সূত্রে বাঁধতে হবে। দেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা হিন্দি। আর এই ভাষা দেশের মানুষের মধ্যে একতা তৈরির ক্ষমতা রাখে।”
শুরুতেই প্রতিবাদ করেছিলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কমল হাসান। কমল হাসান বলেন, “এমন উদ্যোগ নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।”
তিনি নরেন্দ্র মোদি সরকারকে ভাষা-যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এটা ভারত বা তামিলনাড়ু কারো জন্যেই ভালো নয়।”
কমল হাসান বলেন, “ভারত গঠনের সময় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। এখন কোনো শাহ, সুলতান বা সম্রাট সেই প্রতিশ্রুতি বা ঐতিহ্য ধ্বংস করতে পারেন না। আমরা সব ভাষাকেই সম্মান করি। কিন্তু আমাদের মাতৃভাষা সব সময়ই তামিল থাকবে।”