ইরানে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একেরপর এক হুমকি ও সৌদি আরবের দুটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে জোড়া ড্রোন হামলার ঘটনায় প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে।
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) তেলের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম ১০.৬৮ শতাংশ বাড়ানোয় এর দাম লাফিয়ে ৬০.৭১ ডলারে পৌঁছেছে।
অপরদিকে লন্ডনভিত্তিক ব্রেন্ট ক্রুড সংস্থায় তেলের দাম ১১.৭৭ শতাংশ বেড়ে ৬৭.৩১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উৎপাদনকারী সংস্থা আরামকোয় ড্রোন হামলার প্রভাবেই এশিয়ার বাজারে তেলের দামে এই প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তেলের বাজার বিশ্লেষক জেফ্রি হ্যালি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে, এর ফলে সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিতে বড়সড় ধাক্কা লাগলেও, চলতি সপ্তাহ জুড়েই তেলের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার নেপথ্যে প্রতিবেশী ইয়েমেনের তেহরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হাত রয়েছে। হামলার জেরে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের পরিমাণ ৬ শতাংশ বন্ধ করে দিয়েছে।
এই ড্রোন হামলার ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে দোষারোপ করে বলেন, “ইরানে গোপনে সামরিক হামলা চালাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, “যাতে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে তা নিশ্চিত করতে অংশীদার এবং সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান এই আগ্রাসনের ব্যাপারে দায় এড়াতে পারে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান।