মরিচের উৎপত্তিস্থল নিয়ে অনেক সংশয় থাকলেও বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ নির্দেশ করেছে মধ্য আমেরিকায়।কারন সেখানে ৭৫০০ খৃষ্টপুর্বেও মরিচের ব্যাবহারের প্রমান পাওয়া গেছে। ৬০০০ হাজার বছর পুর্বে ইকুয়েডরে মরিচ চাষ হত।
পর্তুগীজ আর স্পেনীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা দক্ষিন এশিয়ায় মরিচের আগমন। মূলত কলম্বাসের গুরুত্বপুর্ন ভ্রমনের পর থেকে মরিচ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪৯৩ সালে কলম্বাসের ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২য় বার ভ্রমনে তার ডাক্তার মরিচকে স্পেনে নিয়ে আসে এবং মরিচের ঔষুধীগুন নিয়ে লিখে ১৪৯৪ সালে। প্রথমে ফিলিপাইন, তার পর ভারতবর্ষ, চীন, কোরিয়া, ও জাপানে মরিচ বিস্তার লাভ করে। সময়টা প্রায় নিশ্চিত করেছে পুরানদারা দাসের গানে মরিচের কথা থাকায়। তার জীবন কাল ছিল ১৪৮৪-১৫৬৪।
পরবর্তিকালে দক্ষিন এশিয়া থেকে চীন ও দক্ষিন-পুর্ব এশিয়ায় কিংবা ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে দ্রুত কিভাবে ছড়ালো তার তেমন কোন তথ্য নাই, তবে ধারনা করা হয় আরব-ইউরোপীয়ান বনিকদের দ্বারাই ছড়িয়েছে। আর পথ ছিল গঙ্গা নদী।
যেখানে ভারতবর্ষে দ্রুত মরিচের বিস্তার ঘটে সেখানে ইউরোপিয়ানরা অর্নামেন্তাল ফল হিসেবে সৌখিন কিছু মানুষের মাঝেই গ্রহনযোগ্যতা পায়। স্পেন থেকে ইতালীতে মরিচের আগমন ১৫৪৮ সালে আর ইংল্যান্ডে ১৫৪৮ সালে। কিন্তু মরিচ পুর্ব ইউরোপে স্পেনীয়া বা পর্তুগিজরা ছড়ায় নাই । এখানে মুসলিম ব্যবসায়ীরা ছড়িয়েছে পারস্য উপসাগর দিয়ে। সম্ভবত তুর্কীদের দ্বারা কালো সাগর দিয়ে হাঙ্গেরীতে ১৫২৬ সালে সেখান থেকে জার্মানীতে মরিচের বিস্তার হয়েছে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ১৮৬৮ সালের আগে বেশিরভাগ ইউরোপীয়ানরা মরিচের উৎপত্তি হিসেবে ভারতবর্ষকেই জানত।