গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২৬৩ কিংস্টোন রোড, টরন্টোতে কানাডা-বাংলাদেশ ট্রেড প্রমোশান সেন্টার এর উদ্যোগে কানাডা সফররত বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী এবং কানাডা সরকারের বর্ডার সিকিউরিটি এন্ড অরগানাইজড ক্রাইম রিডাকশনের মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার এর মধ্যে বিকাল ৩:৩০ থেকে ৫টা পর্যন্ত এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দু’দেশের বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কানাডা পার্লামেন্টের বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের চেয়ারম্যান নাথানিয়েল আর্সকাইন-স্মিথ, এম.পি., অটোয়াস্থ বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমই এর সহ-সভাপতি মশিউল আজম সজল সহ আরো অনেকে।
আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সংগঠন সি.বি.টি.পি.সি.র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আলিমুর রহমান হায়দারি, সৈয়দ শামসুল আলম, অলক চৌধুরী, মাহাবুব আনাম, রেজাউল করিম তালুকদার, নাজমুল জায়গীরদার এবং মোস্তফা হক।
আলোচনায় নানা বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বাড়ানো। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বছরে বাণিজ্য হয় আড়াই বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের মধ্যে ৩.৫ বিলিয়নে উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কানাডার জোড়ালো সমর্থন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে বন্ধুত্বের এক বলিষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে। মায়ানমার থেকে বিতারিত ১০ লক্ষ উদ্ভাস্তুকে আশ্রয় দেয়ায় বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের সম্মান অনেক বেড়েছে বলে সবাই মনে করেন। তাছাড়া কানাডার ব্যাপক সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়েছে বাংলাদেশ। মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতারণসহ যেসব হত্যাযজ্ঞ মায়ানমার সেনাবাহিনী চালিয়েছে তা অমানবিক যুদ্ধপরাধ হিসেবে তুলে আন্তর্জাতিক সমাজে বলিষ্ঠ গুরুত্ব পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশের মন্ত্রী বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান বিল ব্লেয়ারকে। বিষয়টি বিল ব্লেয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ দেড় ঘন্টাব্যাপী দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনা বর্তমান সময়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে সবাই মনে করেন।