অখিল সাহা, টরন্টো: ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-এর সভাপতি, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ও দেশের প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম পুরোধা অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমেদের মৃত্যুতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই) কানাডা’র পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পিডিআই কানাডার যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল মালিক ও বিদ্যুৎ রঞ্জন দে। অধ্যাপক মুজাফ্ফর গত ২৩শে আগষ্ট দেশের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় ১৯২২ সালে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৩৭ সালে থেকে ন্যাপের রাজনীতির সাথে আছেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি এসেম্বলি সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিষ্ট পার্টি ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাথে ন্যাপ সম্মিলিতভাবে মুক্তিবাহিনী নামে একটি বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন ও যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আহুত হয়ে যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের স্বাধীকার ও স্বাধীনতার সপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তাঁকে মন্ত্রিত্ব গ্রহনের অনুরোধ জানালেও নির্লোভ এই নেতা শ্রমজীবি সাধারণ মানুষের জন্য তা গ্রহন করেননি। ২০১৫ সালে তাঁকে সরকার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা দিবস পদক প্রদান করেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জন্মস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী আসমা আহমেদ ও একমাত্র কন্যা আইভি আহমেদ রয়েছেন।
এই জনপ্রিয় নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই) কানাডা। পিডিআই কানাডার পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল মালিক ও বিদ্যুৎ রঞ্জন দে জানান যে, দেশে আদর্শবিহীন ও স্বার্থবাদী রাজনীতিতে অধ্যাপক মুজাফ্ফর আহমদের মত নির্লোভ ও ত্যাগী নেতৃত্ব, যারা দেশ ও জাতির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে জানতেন, শুন্যস্থান কোনভাবেই পূরণ হবার নয়।
দেশদরদী নির্লোভ এই জননেতার স্মরণে টরন্টোতে পিডিআই কানাডা আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫.০০টায় হোপ ইউনাইটেড চার্চে (২৫৫০ ড্যানফোর্থ এভিনিউ, মেইন ও ড্যানফোর্থ) এক নাগরিক স্মরণসভার আয়োজন করেছে। পিডিআই-এর পক্ষ থেকে উক্ত স্মরণ সভায় সকল মুক্তমনা প্রগতিশীল প্রচার মাধ্যম কর্মীসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সবান্ধব ও সপরিবারে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।