অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের তথ্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেছে চীন। এ মহামারি ঠেকাতে চীনা সরকারের সমালোচনা করে বেশ কয়েকজন অ্যাক্টিভিস্ট ও সংবাদকর্মী উধাও হয়েছেন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এবার করোনা সম্পর্কিত নিষিদ্ধ খবর এবং গোপন তথ্য সংরক্ষণের পর নিখোঁজ হলেন বেইজিংয়ে তিন অনলাইন কর্মী। তাদের এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল।
চেন মেই, কাই ওয়েই ও তার বান্ধবী টাং গত ১৯ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ বলে জানান চেনের ভাই চেন কুন। মাইক্রোসফের মালিকানাধীন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম গিটহাবের একটি প্রজেক্টে কাজ করতেন। টাং ছিলেন এর কন্ট্রিবিউটর। তারা গিটহাবের টার্মিনাস২০৪৯ নামের এক পেজে চীনা সরকারের মুছে ফেলা বা ব্লক করা খবর ও গোপন তথ্য সংরক্ষণের কাজ করতো। করোনা সম্পর্কিত কিছু স্পর্শকাতর ফাইল সংরক্ষণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে পেজটি ব্লক করে দিয়েছে চীনা প্রশাসন।
পেজটি বন্ধ করেছে সরকার
কাই ও টাংয়ের বিরুদ্ধে ‘ঝগড়া বাধানো ও ঝামেলা উসকে দেওয়ার’ অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এখন ‘একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তারা বিশেষ নজরদারিতে’ রয়েছেন বলে বেইজিংয়ের চাওইয়াং জেলা পুলিশের কাছ থেকে একটি নোটিশ পেয়েছে তাদের পরিবার, এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।
২৬ বছর বয়সী ছোট ভাই আসলেই আটক হয়েছে কিনা জানেন না চেন কুন। এখনো তাকে আটকের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এএফপিকে চেন কুন বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি চেন মেইয়ের মতো একই সময়ে নিখোঁজ হয়েছে কাই ও টাং। টার্মিনাস২০৪৯ প্রজেক্টের কন্ট্রিবিউটর ছিল চেন ও কাই। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে প্রজেক্ট সম্পর্কি কোনো কারণেই তারা নিখোঁজ।’
চেন ও কাইয়ের গায়েব হওয়ার খবর প্রথম জানা যায় ২৫ এপ্রিল ‘সাউদার্ন ইডিয়ট’ নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। কাইয়ের পরিবারের কাছে পাঠানো পুলিশের নোটিশের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
সম্প্রতি টার্মিনাস২০৪৯ পেজে করোনা সম্পর্কিত অনেক স্পর্শকাতর খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ভাইরাস নিয়ে আগেই সরকারকে সতর্ক করা উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক আই ফেনের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে।
ওই সাক্ষাৎকারটি মার্চে পিপল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হলে পুরো চীনে তোলপাড় শুরু হয়। পরে তা স্পর্শকাতরের অভিযোগে ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে দেয় সরকার।
(ভোরের আলো/ফআ)