টরন্টোতে বসবাসকারী ৬০০ কোটি টাকা খেলাপি সেলিমের খবর কেউ জানে না!

লিখেছেন  আলাউদ্দিন আরিফ

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দেওয়া ১০০ শীর্ষ ঋণখেলাপির মধ্যে তিনটি কোম্পানির মালিক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. জয়নাল আবেদীন ওরফে সেলিম। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ৮টি ব্যাংক থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ তার। এখন সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন। সম্প্রতি সেলিম দেশে ফিরেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে তার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও বিদেশে আসা-যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। কয়েকটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেলিমের বিরুদ্ধে শুধু অর্থঋণ আদালতে মামলা করে দায় সেরেছে। অবশ্য অর্থঋণ আদালতের মামলায় তিনি ‘ফেরারি’।

অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, সেলিম টরন্টোতে একটি বিশাল বাড়ি কেনেন। পরে সেটি ভেঙে দুটি বাড়ি করে বিক্রির মাধ্যমে মিলিয়ন ডলারের বেশি লাভ করেন। এখন সপরিবারে ভাড়া থাকছেন। কানাডায় নামে-বেনামে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করেছেন চট্টগ্রামের এই ব্যবসায়ী। কয়েক মাস আগে কানাডিয়ান পাসপোর্ট পেয়েছেন তিনি। এরপর সেটি ব্যবহার করে কিছু জমি বিক্রির জন্য সম্প্রতি সেলিম গোপনে বাংলাদেশে এসেছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। কানাডিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করায় ইমিগ্রেশন বা অন্য কোনো সংস্থা তার দেশে আসার বিষয়ে জানতে পারেনি।

চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড এলাকায় টানা দুদিন অনুসন্ধান চালিয়েও সেলিম এবং তার সহযোগী আলাউদ্দিন ওরফে আলোর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবই বন্ধ। চট্টগ্রামের পূর্ব নাসিরাবাদে যে ভবনে সেলিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল, সেখানে অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভাড়াটিয়া উঠেছেন। সেলিমের ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, এফঅ্যান্ডএফ শিপ রিসাইক্লিং, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স ও প্রিমিয়াম ট্রেন করপোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানের জমি দখলে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এখন সেলিমের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। সীতাকুণ্ডের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা এ প্রতিবেদককে জানান, চোরের সম্পদ ডাকাতের দখলে গেছে। সেলিমের প্রতিষ্ঠানগুলো দখল নিয়েছে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের পরিবার। তার ভাই শাহীন আলম টিপুই সবগুলোর তত্ত্বাবধান করেন। অবশ্য দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে টিপু জানান, ‘ম্যাক শিপইয়ার্ড আমরা ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছি।’

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, সেলিম ও আলাউদ্দিনের মালিকাধীন চারটি প্রতিষ্ঠান তাদের সমিতির সদস্য ছিল। এগুলো হলো- ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, এফঅ্যান্ডএফ শিপ রিসাইক্লিং, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ও প্রিমিয়াম ট্রেড করপোরেশন। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় তারা ভাড়া হিসেবে ব্যবহার করতেন। ছেড়ে দেওয়ার পর সেখানে অন্য ভাড়াটিয়া উঠেছেন। এছাড়া সেলিমের এমকে স্টিল নামেও আরেকটি প্রতিষ্ঠান ছিল বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ১০০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ২১ নম্বরে ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, ৪১ নম্বরে এমকে শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি ও ৫৮ নম্বরে ম্যাক শিপ বিল্ডার্সের নাম রয়েছে। অনুসন্ধানে ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল ও তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের লালদীঘি শাখায় ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের কাছে পাওনা ১৬২ কোটি ৬৩ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের লালদীঘি শাখায় পাওনা ১৫৯ কোটি ৪৪ লাখ, ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের কাছে যমুনা ব্যাংক চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী শাখার পাওনা ১২ কোটি ৭৮ লাখ, এফঅ্যান্ডএফ শিপ রিসাইক্লিংয়ের কাছে এবি ব্যাংকের পাওনা ৩২ কোটি ৬২ লাখ, একই প্রতিষ্ঠানের কাছে পূবালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ১৯ কোটি এবং ইস্টার্ন ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ১২ কোটি, ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের কাছে প্রাইম ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পাওনা প্রায় ৫৮ কোটি, পূবালী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখায় পাওনা ৪৪ কোটি ও আগ্রাবাদ শাখার পাওনা ২২ কোটি ৪৭ লাখ, যমুনা ব্যাংক ভাটিয়ারি শাখার পাওনা ১৩ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ১২ কোটি এবং ইস্টার্ন ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার প্রায় ৭ কোটি টাকা।

পাওনা আদায়ে আটটি ব্যাংকই চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। ঋণের টাকা শোধ না করায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, নাসিরাবাদ ও ঢাকার বনানীতে থাকা ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে তুলেছে যমুনা ব্যাংক। অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এফঅ্যান্ডএফ শিপ রিসাইক্লিংয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে অগ্রণী ব্যাংক। আরেক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমকে স্টিল রি-রোলিংয়ের সম্পত্তি নিলামে তুলতে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে এবি ব্যাংক। তবে সেলিমের মালিকানাধীন প্রিমিয়াম ট্রেড করপোরেশনের নামে থাকা ঋণের হিসাব সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানের নামেও বড় অঙ্কের ঋণ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ম্যাকের ঋণখেলাপির বিষয়ে জানার জন্য আগ্রাবাদ ও খাতুনগঞ্জের কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় গেলে, প্রধান কার্যালয় বিষয়টি দেখভাল করছে জানিয়ে কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ঋণ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছি। তাদের বন্ধকী সম্পত্তি নিলামে তুলেছি।’ অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের নামে ঋণ আছে জানি। প্রতিষ্ঠানটি লালদীঘি শাখার বড় অংশের খেলাপি। তাদের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলা আছে। কিন্তু মামলার সর্বশেষ অবস্থা ফাইল না দেখে বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি চট্টগ্রামের জিএম ও ডিজিএম ভালো বলতে পারবেন।’

এদিকে সেলিম ও তার অংশীদার আলাউদ্দিনের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদের ১৩৮৮ কেডিএ এভিনিউর একটি চারতলা ভবন। দৈনিক পূর্বকোণ অফিসের কাছে চারতলা ওই ভবনে গত বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিসের অস্তিত্ব নেই। চারতলাতেই এসেছে নতুন ভাড়াটিয়া। দোতলার একটি রুমে প্রতিষ্ঠানের কিছু ফাইল স্তূপ করে রাখা। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মহিউদ্দিনের কাছে সেলিম ও আলাউদ্দিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

ভবনের চতুর্থতলায় জেবিএল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, খাদিজা করপোরেশন লিমিডেট ও চমক সিন্ডিকেট নামে নতুন কোম্পানির অফিস খোলা হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, কয়েক বছর আগেই ম্যাক করপোরেশনসহ অন্যরা অফিস ছেড়ে চেলে গেছেন। এখন তারা কোথায় তা তাদের জানা নেই। তৃতীয়তলায় স্পিকার্স কাউন্সিল নামে ইংরেজি শিক্ষার অফিস। তবে দ্বিতীয়তলায় এমকে স্টিলের নেমপ্লেট ও একটি দেয়াল ঘড়ি এখনো রয়েছে।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং ও রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গেলে কর্মকর্তারা জয়নাল আবেদীন সেলিম এবং অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কারও তথ্য সরাসরি জানাতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, জয়নাল আবেদীন সেলিমের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের সমিতির সদস্য নেই। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও তাহের অ্যান্ড কোং-এর মালিক আলহাজ আবু তাহের এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘তারা ব্যাংকের টাকা মেরে পালিয়ে গেছে। আমি তাদের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তাদের কী আছে না আছে সেটাও আমি জানি না। তারা অনেক পুরনো সদস্য। আমি তাদের বিষয়ে বলতে পারব না।’

দুদক ও পুলিশের কাছে তথ্য নেই : 
এদিকে জয়নাল আবেদীন সেলিম ও আলাউদ্দিন সম্পর্কে দুদক এবং পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। দুদকের দায়িত্বশীল দুজন পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। সেলিম এখন কোথায়, সে তথ্যও নেই দুদকের কাছে। তিনি দেশে এসেছেন কি না জানতে চাইলে তথ্য দিতে পারেননি দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে সরাসরি গেলেও দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে রাজি হননি। অবশ্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপপরিচালক বলেন, আমাদের মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি না হলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল বা জয়নাল আবেদীন সেলিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে কোনো মামলার তথ্য জানা নেই বলেও জানান তিনি।

জয়নাল আবেদীন সেলিম ও আলাউদ্দিনের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ঋণখেলাপি সেলিম ও আলাউদ্দিনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তিনি দেশে না বিদেশে সেটাও জানি না। তবে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সেটা তামিল করবে।

সম্পত্তি এমপি পরিবারের দখলে : 
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চৌধুরীঘাটা এলাকার শীতলপুরে বঙ্গোপসাগরের তীরে সাড়ে ৮ একর জমিতে মেসার্স টিআর শিপ ব্রেকার্স। এই জমিতেই আগে ছিল মেসার্স ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল। এককালীন ২ কোটি টাকা ও মাসে আড়াই লাখ টাকায় তিন মাসের জন্য ভাড়া নিয়ে ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের শীতলপুরের কারখানাটি দখল করে নেয় এমপি দিদারুল আলমের পরিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিআর শিপ ব্রেকার্স। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক। সেটি এখন দেখাশোনা করেন দিদারুল আলমের ভাই শাহীন আলম টিপু। দিদারুল আলমের বাবা আলহাজ আবু তাদের বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিকাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ভাড়ার চুক্তি করে টিআর শিপব্রেকার্স নিজেদের অনুকূলে পরিবেশ ছাড়পত্রও নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে প্রায় ১২ বছর আগে জাহাজভাঙা কারখানার ব্যবসা শুরু করেন সেলিম ও আলাউদ্দিন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এককালীন ২ কোটি টাকা এবং মাসে আড়াই লাখ টাকায় ম্যাকের কারখানাটি ভাড়া নেয় টিআর শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড। দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তিও হয়। দুই মাস পর চুক্তি বাতিলের চেষ্টা করেন সেলিম ও আলাউদ্দিন। কিন্তু সেটি বাতিল না করে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারখানার দখল নেওয়া হয়। এরপর টিআরের বিরুদ্ধে ইজারার নথি জাল করার অভিযোগও ওঠে।

ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তিন মাসের ভাড়ার চুক্তি বাতিলের অনুরোধ করি। উকিল নোটিসও পাঠাই। কিন্তু চুক্তি বাতিল না করে তারা পুরো কারখানা দখল করে নেয়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছি। সেটি এখনো চলছে।’

ম্যাকের কারখানা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে এমপির ভাই শাহীন আলম টিপু বলেন, ‘আমরা শিপইয়ার্ডের জমি ১০ বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছি।’ তবে কার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যার কাছ থেকে নেওয়ার নিয়েছি। আইন মেনে আমরা পরিবেশের ছাড়পত্রসহ সবকিছু করেছি।’

সংবাদ সূত্র: দেশ রূপান্তর

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ