বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনকে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে বাংলাদেশের এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর ৫০ ও সাকিবের ৪৬ রানে ভর করে বিশ্বকাপের এ আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৮১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা রাঙাতে পারেননি নাঈম শেখ। দ্বিতীয় বলে সেসে বাউর হাতে ক্যাচ তুলে শূণ্য রান নিয়েই সাঝঘরে ফেরেন তিনি। ওয়ান রাউন্ডে নেমে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। তাকে সঙ্গ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু মাঠে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারলেন না তিনি। ব্যক্তিগত ২৯ রান করে আসাদ ভালার বলে সেসে বাউর হাতে ক্যাচ তুলে উইকেট হারান এই ওপেনার।

চতুর্থ উইকেটে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মুশফিক। সিমন আতাইয়ের বলে হিরি হিরির হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। লিটন-মুশফিক ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু অর্ধশতক পূর্ণ করার ৪ রান আগেই আসাদ ভালার শিকার হন তিনি। ৩ ছয়ে ৩৭ বল খরচায় ৪৬ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

সাকিবের বিদায়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। কিন্তু ১৮তম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে রাবুর বলে সোপারের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন টাইগার অধিনায়ক। একই ওভারের শেষ বলে আতাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাক মারেন সোহান। পরের ওভারে ব্যক্তিগত ২১ রান করে মোরেয়ার শিকার হন আফিফ হোসাইন।

শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে ক্যামিও ইনিংসে বাংলাদেশকে এ আসরের সর্বোচ্চ ১৮১ রান এনে দেন সাইফুদ্দিন। ৬ বলে ১৯ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহেদি হাসান।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে পাপুয়া নিউগিনি। তবে তৃতীয় ওভারে লেগা সিয়াকাকে এলবিডব্লিউ করে ব্রেকথ্রু আনেন সাইফউদ্দিন। ব্যক্তিগত ৫ রান করে সাঝঘরে ফিরেন পিএনজির এই ওপেনার। পরের ওভারে আসাদ ভালাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ৬ রান করে বিদায় নেন পিএনজি অধিনায়ক।

পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে জোড়া উইকেট নিয়ে পিএনজিকে কোণঠাসা করে দেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে চার্লস আমিনিকে ফেরানোর পর চতুর্থ বলে সিমন আতাইকে ফেরান দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত বোলিং করা সাকিব নিজের তৃতীয় ওভারে সেসে বাউকে শিকার করে তুলে নেন তৃতীয় উইকেট। ৭ রান করে সাঝঘরে ফেরেন পিএনজির এই ব্যাটার।

ধুঁকতে থাকা পিএনজি পাত্তাই পাচ্ছিল না বাংলাদেশের সঙ্গে। বল করতে এসে দশম ওভারে নরমান বানুয়ার উইকেট তুলে নেন মাহেদি। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পিএনজি এক এক করে উইকেট হারাতে থাকে। মাঠে থিতু হয়ে থাকা হিরি হিরিকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান সাকিব। ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাঝঘরে ফেরেন পিএনজির এই ব্যাটার।

১৫তম সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত ইয়র্কারে উইকেট হারান চাদ সোপার। ব্যক্তিগত ১১ রান করে তার ফেরার পর দলের হাল ধরেন কিপলিন ডোরিগা। তাকে সঙ্গ দেয়া মোরেয়া রান আউট হন ব্যক্তিগত ৩ রান করে। এরপর ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদের বলে উইকেট হারান রাবু। আর ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। শেষ পর্যন্ত ২ চার ও ২ ছয়ে ৪৬ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ডোরিগা।

বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ২টি করে উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ