ডায়েরী থেকে বলছি: মুনিয়া-আনভীরের অজানা কথা; গুলশানের আলিশান ফ্ল্যাটের প্রমাণ নিয়ে মাঠে পুলিশ ও গোয়েন্দারা

গুলশানের আলিশান ফ্ল্যাটের প্রমাণ নিয়ে মাঠে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। ব্যস্ত তদন্তকারীরা। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে নানান তথ্য। উপাত্ত। এসেছে কিছু প্রমাণ। তারা উদ্ধার করেছেন সেই ছাত্রীর গোপন ডায়েরী। তাছাড়া বেশ কিছু আলামত। এনিয়ে গোয়েন্দাদের একটি দল রাজধানীর বনানী ও অপর একটি দল কুমিল্লার বাসাতে ছুটছেন বলে জানা গেছে। ওই তরুণীর পারিবারিক নাম মোসারাত জাহান। তবে আনভির তাকে মুনিয়া বলেই ডাকতেন। পুলিশ ও গোয়েন্দরা মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের পরিচয়ের একটি সূত্র ধরেই সামনে এগুচ্ছেন। মুনিয়ার বাসা ভাড়া ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, নামী-দামী পোষাক, জুতা ও ডায়মন্ডের গহনা কে দিয়েছে তাও স্থান পাচ্ছে তদন্তে।

পুলিশ জানিয়েছে মোসারাত জাহান মুনিয়া (২১) মিরপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, মুনিয়ার অতি লোভ ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন প্রখর হয়ে উঠে। আনভিরের সাথে মুনিয়া বিভিন্ন জায়গায় ও পার্টিতে নিয়মিত যেতেন। এমন কি বিদেশ গেছেন বলেও তথ্য মিলেছে। এসব কিছু এখন আমলে নিয়েছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে পুলিশের কাছে বিভিন্ন মহল থেকে শক্ত তদবীর আসছে। কতক্ষণ পুলিশ তদন্ত নিয়ে সামনে যাতে পারবে তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না। সূত্র আরো জানায়, একটি পেশাদার চক্র সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে মুনিয়াকে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে কোন একটি পার্টিতে পরিচয় মনিয়ার সাথে। মুনিয়ার একটি পাসপোর্ট ছিলো সেটি কোথায় আছে কার কাছে আছে তা এখনও জানা যায়নি।

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। এই ঘটনার সোমবার রাতেই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে। কলেজছাত্রীর বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এজাহারে তিনি পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, মুনিয়ার লেখা আনভীরকে নিয়ে প্রেম কাহিনীর ডায়েরি পুলিশ নিয়ে গেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, দুই বছর আগে মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মোসারাতকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আসামি রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তারা বসবাস করতে শুরু করেন।

দামী দামী পোষাকে সজ্জিত মুনিয়া

নুসরাত জাহান জানান, ২০২০ সালে আসামির পরিবার এক নারীর মাধ্যমে এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর আসামির মা মোসারাতকে ডেকে ভয়ভীতি দেখান এবং মোসারাতকে ঢাকা থেকে চলে যেতে বলেন। আসামি কৌশলে মুনিয়াকে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন। আর জানিয়ে দেন বিয়ে করবেন।

নুসরাত এজাহারে বলেন, গত ১লা মার্চ আসামি আনভির মোসারাতকে প্ররোচিত করেন। তিনি বাসা ভাড়া নিতে বাদী নুসরাত ও তার স্বামীর পরিচয়পত্র নেন। ফুসলিয়ে তিনি মোসারাতকে ঢাকায় আনেন। তিনি গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কে বাসা (ফ্ল্যাট-বি-৩) ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে আসামি ও তার (বাদীর) বোনের স্বামী-স্ত্রীর মতো ছবি তুলে তা বাঁধিয়ে রাখে। আনভির বাসায় আসলে কক্ষটি পরিপাটি করে রাখা হতো।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বোনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আনভির তাকে বিয়ে করে বিদেশে স্থায়ী হবে। কারণ, দেশে থাকলে আসামির বাবা-মা আনভিরকে কিছু না করলেও তার বোনকে মেরে ফেলবেন। এদিকে আনভির ১লা মার্চ থেকে মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতেন। বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে আসতেন। তার বোন ও ভগ্নিপতিকে উপহার দিতেন।

এজাহারে আরো বলা হয়, ২৩ এপ্রিল মোসারাত মুনিয়াকে ফোন করেন। সেসময় মুনিয়া তাকে বলেছেন, আনভীর তাকে গালাগালি করেছে। বকঝকা দিয়েছে। নুসরাত কারণ জানতে চাইলে বলেন, কেন তিনি (মোসারাত) ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় গিয়ে ইফতার করেছেন, ছবি তুলেছেন। এদিকে ওই ফ্ল্যাটের মালিকের স্ত্রী মুনিয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

অন্যদিকে ওই ছবি পিয়াসা নামের অন্য একজন মহিলা দেখেছেন। যিনি মালিকের স্ত্রীর ফেসবুক বন্ধু। এখন পিয়াসা তার মাকে সবকিছু জানিয়ে দেন। এদিকে আনভির দুবাই যাবেন তাই মনিয়াকে কুমিল্লায় চলে যেতে বলে গেছেন। এসব খবর আনভিরের মা জানতে পারলে তাকে (মোসারাতকে) মেরে ফেলবেন এমন আশঙ্কার কথাই বলেছিলেন নুসরাতকে তার বোন।

এজাহারে নুসরাত আরো বলেন, দুদিন পর ২৫শে এপ্রিল মুনিয়া তাকে ফোন করেন। ওই সময় সে কান্নাকাটি করে বলেন, আনভীর তাকে বিয়ে করবেন না। কেবল মাত্র ভোগ করেছেন। আনভিরকে উদ্ধৃত করে মনিয়া বলেন, আনভির তাকে বলেছেন, তিনি তার শত্রুর সঙ্গে দেখা করেছেন। মুনিয়াকে তিনি ছাড়বেন না। মোসারাত জাহান মুনিয়া চিৎকার করে বলেন, আনভির তাকে ধোঁকা দিয়েছেন। যেকোনো সময় তার বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তারা (বাদী নুসরাতের পরিবার) যেন দ্রুত ঢাকায় আসেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, নুসরাত তার আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় রওনা দেন। আসার পথে বারবার মুনিয়ার ফোনে ফোন করেন, কিন্তু তিনি আর ফোন ধরেননি। গুলশানের বাসায় পৌঁছে দরজায় নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারা নিরাপত্তারক্ষীর কক্ষ থেকে বাসার ইন্টারকমে ফোন করেন। পরে ফ্ল্যাট মালিকের নম্বরে ফোন দিলে মিস্ত্রি এনে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকার পরামর্শ দেন। মিস্ত্রি ডেকে তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর তিনি দেখেন, তার বোন ওড়না পেঁচিয়ে শোয়ার ঘরের সিলিংয়ে ঝুলে আছেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, পুলিশ এসে ওড়না কেটে মোসারাতের মৃতদেহ নামায়। আলামত হিসেবে আসামির সঙ্গে ছবি, আসামির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে লেখা ডায়েরি ও তার ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্র আরো জানায় ওই ডায়েরীর সূত্র ধরে পুলিশ এগুচ্ছে। তবে বার বার অজানা কারণে পিছু হটছে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া-

এই ছবি ধারণ করেছেন কে??

লিজার মন্তব্য হচ্ছে, হাজার তরুণ তরুণী গ্রাম-মফস্বল ছেড়ে শহরে আসে লেখাপড়া করতে। তার মানে এই না যে তারা সবাই অন্যের দাসী/রক্ষিতা হয়ে জীবনযাপন করে।। কিছু কিছু মেয়ে পারিবারিক কন্ট্রোল এর বাইরে গিয়ে, সঙ্গ দোষে খারাপ পথে পা বাড়ায়,লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করতে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।। এর মানে সকল মেয়েই খারাপ নয়। তাহলে আপনার, আমার যত বোনেরা লেখাপড়া করতে শহরে এসেছে সবাই খারাপ – কিন্তু আপনি জানেন আপনার আমার বোন তেমনটা নয়।।

যে ব্যক্তি ক্ষমতা আর টাকার জোরে একটা মেয়ে কে লাখ টাকার ভাড়া ফ্লাটে রাখতে পারে, না জানি সে এমনভাবে কত মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করেছে।। আর সেই মেয়েকেই ৫০ লাখ টাকা চুরির দায়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে।। মেয়েটার চরিত্র তো খারাপ,কিন্তু সেই ক্ষমতাবান পুরুষটির চরিত্র কেমন!! তাকে কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা? সকল মিডিয়া কেন তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক? জবাব চাই, বিচার চাই!!

শিপলু লিখেছেন, ‘এদেশের অনেক বাবা-মা ই তার মেয়েকে দিয়ে চামড়ার ব্যবসা করাই!(গরু খাসি দুম্বার চামড়া ভাইবেন না আবার)!পরামর্শ দেয়;যাও মা; বড় দান মেরে আসো।ছোটখাটো কোন খ্যাপ মারবা না!!!! গুরুদয়ালের কী নীলাখেলা যে এমন দানই মারছে যে, সেই দানবীর মোহাসীনের নাম মনেমনে উচ্চারণ করতেও পারবে না!!!! লক্ষ্মী সোনা, আমার সাথে প্রেম করলে ফ্লাট না পাইলেও অন্ত্যত বিঁচার তো পাইতা।এখন তো আম ছালা আঠি চামড়া সবই গেল!!!!!! আসমানের মালিকের ছাড়া অন্য কোন বিঁচারব্যবস্তার পর আর তেমন আস্তা নেই !!!!’

সুচিন্ত জানান, ‘দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এক শিল্পপতির আয়ত্তে লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাটে থাকতেন,তাও পরিবার ছাড়া। তার মানে পরিবারও জানতো কার সাথে সম্পর্কিত ছিল। লাক্সারি লাইফে নয়,অল্পতে খুশি হওয়াতে রয়েছে প্রকৃত সুখ। ‘লোভে পাপ,পাপে মৃত্যু’। এই ঘটনা থেকে বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের ও অবিভাবকদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত রয়েছেন,তাদের শাস্তি হোক কঠোর’।

ফারুক নামে একজন লিখেছেন, ‘গুলশানে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে হলে আপনাকে মাসিক নূন্যতম লাখের উপরে টাকা উপার্জন করতে হবে। কলেজে ২য় বর্ষে পড়ুয়া শিক্ষার্থী নিশ্চয়ই লেখাপড়ার পাশাপাশি ঐ শিল্পপতির প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি করতেন। তার এই সফলতা দেখে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হল। শিল্পপতিরা থাকুক সুখে, আগুন জ্বলুক গ্রাম থেকে ঢাকায় লেখাপড়া করতে আসা সুন্দরী মেয়েদের বুকে!

শিল্পী নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এ কেমন পরিবার ! একটা অবিবাহিত মেয়ে একা একটা ফ্ল্যাটে কিভাবে ভাড়া নিয়ে থাকে ! পরিবারের দায়িত্বহীনতার কারণে আজ মেয়েটার এই পরিনীতি’!

আরেকজনের মন্তব্য হচ্ছে, ‘একা থাকার কারণে মানুষ সবকিছু করতে পারে।যার ফলাফল আত্মহত্যা। ২য় বর্ষের একটা মেধাবী মেয়ে এভাবে চলে যাওয়া সত্যি দুঃখজনক।পরিবারগুলোর আরো সচেতনতা বাড়ানো উচিত কারণ তাদের অনুপস্হিতিতে তার সন্তানেরা কেমন আছে ,কি করছে সেসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হো ‘।

শফিক লিখেছেন, ‘বিয়ে করা বউ সন্তানদের পাশাপাশি ভার্সিটির সেরা সুন্দরী, উঠতি বয়সী মডেল কিংবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুন্দরীরা একজন শিল্পপতির মনোরঞ্জনে প্রতিনিধিত্ব করতেই পারে এবং তা স্বাভাবিক। কিন্তু কুমিল্লা থেকে এসে গুলশানের মতো জায়গা ফ্লাট বাড়ি ভাড়া করে মুক্তিযোদ্ধার কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী মেয়ের একা থাকাটা পুরাই অস্বাভাবিক। শিল্পপতি যদি হত্যাকারী হয়, তরুণীর বাবা মা হবে হত্যাকারীর সহযোগী। লোভে পাপ, পাপে পল্টি’!

আশরাফের মন্তব্য হচ্ছে, ‘মেয়েটা একটা লোভী – প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে শিল্পপতির গৃহবধু বা ধনী পরিবারের সদস্য হওয়ার আশায় দীর্ঘদিন সম্পর্ক চালিয়ে গিয়েছিলো — কিন্তু সে নিজে ও জানতো বয়স্ক এই লোকের বউ আছে এবং ফ্যামিলিগত ভাবে ও বিয়ে করা সম্ভব ও না – তারপরে ও শারীরীক সম্পর্ক করেছে , আর্থিক সুবিধা নিয়েছে , বড় বোন এবং আপন মা ও সব জেনে কিছু ই বলে নি ইন্টারপড়ুয়া মেয়ে কে দিয়ে টাকা পয়সা সম্পদ নেয়ার তালে ছিলো—-নয়তো এতোদিন তারা তাদের বাড়ি ছাড়া মেয়েকে বাধা দিলো না কেন –অল্প বয়সে পেকে গেলে এমনই হয়’।

জাকের বলেছেন, ‘ইসলামে এই জন্য ই পারিবারিক গাইডেন্সের বেপারে বলেছেন। নিজের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে কি করে কই যায় সেটার সঠিক তদারকি খুব জরুরী বাবা মায়ের জন্য। কলেজে পড়ে মেয়ে কেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে একা থাকতে হবে? সে এই টাকা পায় কই থেকে? কারা সঙ্গ দিচ্ছে? এই প্রশ্ন গুলো একজন বাবা মায়ের দরকার ছিল করার। মরার পরে খুজ করে মামলা না দিয়ে আগে থেকে সাবধান হলে এমন কিছু দেখতে হত না পরিবার কে’।

সুলতান লিখেছেন, ‘এটাকে বলে ‘ইকোনমিক সাইন্স অব রিলেশনশীপ’। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি একটা ইন্টার পড়ুয়া মেয়েকে টাকা পয়সার বৃত্তে ফেলে লালসা চরিতার্থ করছে। রক্ষিতা করে রাখছে। আপনি কি মনে করেন মেয়ের পরিবার জানে না? অবশ্যই জানে। এইচএসসিতে পড়া গ্রামের একটা মেয়ে ঢাকায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা ভাড়া করা বাসায় থাকে। তাও পরিবার ছাড়া একাই।

ইজ ইট পসিবল? টাকার পিছনে মেয়ে,পরিবার একত্রে ছুটেছে। সম্ভ্রম বিকিয়ে দিয়েছে। সেই মেয়ের পরিণতি যে এ ধরনের মৃত্যু সেটা স্বাভাবিকভাবেই অনুমেয়। হয়তো যা দুইদিন পরে ঘটার কথা ছিল তা দুইদিন আগেই ঘটে গেছে। দোষী হলে শুয়োরের বাচ্চারআ উপযুক্ত শাস্তি চাই। কিন্তু এ ধরনের মেয়ের জন্য কোনো সমবেদনা নেই। কারণ বাংলাদেশে বসবাস করে এরা ওয়েস্টার্ন কালচারের স্বাদ ভোগ করতে চায়’।

ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ