মন্ত্রীপরিষদ নিয়ে বিমান নামতেই আডেন বিমানবন্দরে হামলা, নিহত কমপক্ষে ১৩

সৌদি আরব সমর্থিত নতুন মন্ত্রীপরিষদকে নিয়ে একটি বিমান ইয়েমেনের আডেন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভয়াবহ হামলা হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। এ সময় বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ ও গোলাশুলির তীব্র শব্দ পাওয়া যায়। এ ঘটনা ঘটেছে বুধবার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, সৌদি আরব সমর্থিত ইয়েমেন সরকার দেশটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রাখতে পেরেছে।

সেখানকার জন্য সদ্য গঠিত নতুন মন্ত্রীপরিষদকে নিয়ে একটি বিমান ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর মধ্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মাঈন আবদুল মালিক, ইয়েমেনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ সাঈদ আল জাবের। তবে তাদেরকে দ্রুত শহরে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং সৌদি আরবের মিডিয়ায় এসব কথা বলা হয়েছে। ইয়েমেনের মাশেক রাজপ্রাসাদ থেকে টুইটে নতুন প্রধানমন্ত্রী মাঈন বলেছেন, আমি এবং সরকারের অন্য সদস্যরা অস্থায়ী রাজধানী আডেনে আছি। সবাই ভাল ও সুস্থ আছি। ইয়েমেন এবং এর বৃহত্তর জনসাধারণের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করা হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে আডেন বিমানবন্দরে কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় এক নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, বিমানবন্দরের হলে তিনটি মর্টার শেল নিক্ষোপ করা হয়েছে। সৌদি আরব মালিকানাধীন আল আরাবিয়া চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় টিভি ফুটেজ। এতে দেখা যায়, কয়েক ডজন মানুষ ওই বিমান থেকে নেমে যাচ্ছেন। এ সময় বিমানবন্দর হলে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। সাদা-কালো ধোয়ার মধ্য থেকে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র যান বেরিয়ে আসে।

প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদির অধীনে নতুন মন্ত্রীপরিষদ গঠন করা হয়েছে। তারা দক্ষিণাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ঐক্য স্থাপন করেছেন। এই দুটি গ্রুপ ইয়েমেনের দক্ষিণে লড়াইয়ে বড় অংশ। তারা সেখানে ইরানপন্থি হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল এবং রাজধানী সানা তাদের দখলে রয়েছে। দক্ষিণের বন্দরনগরী আডেন সম্প্রতি সহিংস হয়ে উঠেছে। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং হাদি সরকারের মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) নামে পরিচিত। তারা দক্ষিণ ইয়েমেনে স্বাধীনতা দাবি করে। এরই মধ্যে এ বছর আডেনকে তাদের শাসনের অধীনে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে লড়াই আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। এর ফলে সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে জাতিসংঘকে।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ