শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রেম নিষিদ্ধ অক্সফোর্ডে

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেম ও যৌনতা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। নারীদের প্রতি যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে যেতে পারে- এমন আশঙ্কা সামনে রেখে বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে এটি হবে ব্রিটেনের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষণ কিংবা তদারকির দায়িত্বে থাকা কারও বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক সতর্কতাসহ আর্থিক জরিমানা ও চাকরিচ্যুতির পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।

বর্তমান বিধি অনুসারে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ক থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আছে। তবে শিক্ষক-স্টাফ ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্কের ফলে বর্তমানে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

সেন্ট হাফ’স ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রেম বা যৌনতা নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া ওরচেস্টার নামে আরেকটি কলেজ একই বিধি অনুসরণ করার চিন্তা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আইভি লিগ কলেজগুলো ছাড়াও হার্ভার্ড এবং ইয়েল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছে। এ বছর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন রাসেল গ্রুপের শীর্ষ ২৪টি ইউনিভার্সিটির অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম এমন সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কে নানা দিক পর্যালোচনা করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আগামী বছর থেকে আরোপের কথা চিন্তা করছে অক্সফোর্ড এডুকেশন কমিটি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক মুখপাত্র বলেন, কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছে।

ছাত্রদের বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর : ছাত্রদের বরাদ্দ বাড়াতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

১৪০টির বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগঠন ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (ইইউইউকে) জানিয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে তৈরি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টস (এনইউএস) জানিয়েছে, করোনার কারণে ক্যাম্পাসগুলোতে নানা সমস্যা তৈরি হওয়ায় অনেক ছাত্র মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।

এনইউএসের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ইউইউকে বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত সেবাগুলোতে ছাত্রদের জন্য অর্থায়নের চাহিদা অনেক বেড়েছে। মহামারীর কারণে অনলাইনে সাপোর্ট দেয়ার বিষয় হয়েছে।

‘আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি ছাত্রদের সাপোর্টের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য। বাড়তি চাহিদা ও ব্যয়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অতিরিক্ত অর্থ দরকার।’ সাম্প্রতিক দুটি জরিপে দেখা গেছে, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থ থাকার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নভেম্বরে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার পর ছাত্রদের মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।                    উৎসঃযুগান্তর

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ