কানাডায় বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

কানাডাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রভিন্সের সিটি “ডেঞ্জার জোন” ও “হাই এলার্ট” ঘোষণা করা হয়েছে। কানাডার আলবার্টার ক্যালগেরিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ বৃদ্ধির কারণে শহরটি শুক্রবার নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আলবার্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডীনা হিনসা আলর্বার্টানদেরকে সতর্ক করে বলেন, ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে প্রদেশটিকে “ডেঞ্জার জোন” প্রদেশের সাথে কঠোর জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিধিনিষেধের জন্য আলবার্টা তার “ট্রিগার দোরগোড়ায়” পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে গত দুই সপ্তাহে প্রদেশ জুড়ে একটি যৌগিক হারে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ ৩.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পাঁচ শতাংশের ট্রিগার দোরগোড়ায় কাছে পৌঁছেছে’।

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি উত্থানের দ্বারা উদ্বিগ্ন, যা বেশ কয়েকটি কারণ দ্বারা পরিচালিত বলে মনে হচ্ছে। যথা কমিউনিটি কেস গণনা এবং হাসপাতালের বিভিন্ন প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি।’

এদিকে, আলবার্টার পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রী ট্রেসি আলার্ড’র করোনা ভাইরাসে পজিটিভের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, মন্ত্রী ট্রেসি আলার্ড করোনাভাইরাস’র হালকা উপসর্গে ভোগ করছেন।

উল্লেখ্য, আলবার্টা প্রদেশের সরকার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতি নির্ধারকরা মুখে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সকলকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে কানাডার টরেন্টোতে কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হার গত সপ্তাহে ৪.৪ শতাংশ ছুঁয়েছে এবং প্রদেশটির দ্বারা উদ্ধৃত “উচ্চ সতর্কতা” প্রান্তিকের দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বুধবার বিকেলে সিটি হলে এক ব্রিফিংয়ের সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক মেডিকেল অফিসার ডা. আইলিন ডি ভিলা বলেন, পজিটিভিটি হারটি কেবলমাত্র একটি সূচক হলেও তার সাম্প্রতিক খাড়া বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ, বিশেষত যখন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ভর্তির হারের পাশাপাশি বিবেচনা করা।

এদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার নতুন করে ২০৩ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ঘোষণা করেছেন। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ।

প্রাদেশিক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. বনি হেনরি এবং উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিফেন ব্রাউনয়ের লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস কোভিডের ফলে আরও দু’জন লোক মারা গেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা এখনও ২৫৬-এ পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় প্রথম করোনাভাইরাস ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে শনাক্ত হয়েছিল। কানাডার আলবার্টায় ইতিমধ্যে শীত ও তুষারপাত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন একদিকে শীত, তুষারপাত আর অন্যদিকে করোনার প্রকোপ। সবমিলে আলবার্টানরা এক কঠিন সময়ের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ৯৫৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ হাজার ৮ শত ২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১লাখ ৭৩ হাজার ৫১৪ জন।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ